বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী
Sri Sri Boroma
আরেকটি ঘটনার কথা তিনি উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে শ্রীশ্রীবড়মা কত দূরদৃষ্টিসম্পন্না
এবং গভীর প্রজ্ঞার অধিকারিণী ছিলেন। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং লেখক (অজিত
কুমার গাঙ্গুলী)—ঘটনাটি হল এই
সে আজ ৩০-৩৫ বছর আগের ঘটনা। আসাম থেকে এসেছেন সস্ত্রীক প্রমথচন্দ্র ব্যাপারী।
তাঁদের সন্তানাদি নেই। আধুনিক জগতে চিকিৎসাশাস্ত্র এবং গ্রামীণ জীবনের ঝাড়-ফুঁক,
তন্ত্র-মন্ত্র, নানাবিধ কবচ ধারণ, দেবস্থানে হত্যে—সবকিছু করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এসেছেন দয়াল
ঠাকুরের শ্রীচরণে। সন্তান না থাকায় নানা জনের নানা কথা, পারিবারিক যন্ত্রণা তাদের জীবনকে
বিষময় করে তুলেছে। তাই হতাশ প্রাণে গভীর ব্যথা নিয়ে পরমদয়ালের কাছে এসে সব নিবেদন
করলেন। এঁরা আমার স্বর্গত পিতার মাধ্যমে দীক্ষিত। ব্যথাহারী শ্রীমধুসূদন দয়াল ঠাকুর তাঁদের
সবকথা শুনে বললেন—“যা, বড়বৌকে বল।” আমি ওদের নিয়ে শ্রীশ্রীবড়মার কাছে গেলাম।
তিনি তখন বসে আছেন বর্তমান মেমােরিয়ার বারান্দার পূর্ব পাশের ছােট্ট ঘরে। আমরা সবে
তার ঘরে ঢুকেছি, তিনি বলে উঠলেন—“কিরে রঘুর মা এলি নাকি?” পিছন ফিরে তাকিয়ে
দেখলাম আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউ নেই। আমি বললাম—“না বড়মা, আমরা তিনজন
এসেছি আপনার কাছে কিছু নিবেদন করতে।” শ্রীশ্রীবড়মা সব শুনে বললেন—“ঐ তাে রঘুর
মা।” আমরা আর কোন কথা না বলে তাকে অসংখ্য প্রণাম জানিয়ে চলে এলাম। যথাসময়ে
প্রমথ ব্যাপারী সস্ত্রীক আনন্দে ডগমগ হয়ে পরমদয়ালের আশীর্বাদ নিয়ে নিজ ঘরের দিকে যাত্রা
করলেন। এর কিছুদিন পর তাদের এক পুত্র হল। পরমদয়াল নাম রাখলেন রঘুনন্দন। এই ঘটনার
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী হতে পারে তা আমার জানা নেই, তবে তার সান্নিধ্যে থেকে যেটুকু
বুঝেছি-পরমাপ্রকৃতি মা আমার ইচ্ছে করলে ভক্তের মনােবাসনা পূর্ণ করতে পারেন।
(জয়তু জননী মে, পৃঃ ১২৫)
কৃষও প্রসন্ন ভট্টাচার্যের পুত্র গুরুপ্রসন্ন ভট্টাচার্য আশ্রমেই মানুষ। তার দেখা শ্রীশ্রীড়মা ও
তার মাতৃদেবীর সম্পর্কিত দুটি ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ করা হল।
শ্রীশ্রীবড়মার মাতৃদেবীর কথা কিছু না বললে বড়মার বিষয়ে বলা অপূর্ণ রয়ে যায়। বড়মার
মা অত্যন্ত মিষ্টি মানুষ ছিলেন। গায়ের রং কাঁচা হলুদের মতাে, দীর্ঘ চেহারা। পাবনা শহরে তিনি
যে বাড়িতে থাকতেন সে বাড়িতে আমি গেছি। প্রায়ই তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে আসতেন।
পূজ্যপাদ বড়দার কাছে একবার শুনেছিলাম এক ঘটনা—পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দার বয়স তখন খুবই
কম ১৪-১৫ হবে। দুপুরবেলা ঠাকুরভােগের পর ভাই-বােনেরা সকলে মিলে আহারে বসেছেন।
শ্রীশ্রীবড়মা পরিবেশন করছেন। এমন সময়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের হাঁটার আওয়াজ এল—এদিকেই
আসছেন। এমন সময়ে তিনি সচরাচর এদিকে আসেন না। ঠিক এর কিছুক্ষণ পূর্বেই শ্রীশ্রীঠাকুরের
শাশুড়িমাতা এসে পৌঁছেছেন। শাশুড়িমাতা তার জামাতাকে দেখে বললেন—“বাবা, শুনলাম
তুমি বিশেষ কাজে জনে জনের কাছে দশ টাকা করে নিচ্ছ, আমার কাছ থেকেও যদি নাও”—
এই কথা বলছেন আর কেঁচড় থেকেও খুলছেন। শােনামাত্র শ্রীশ্রীঠাকুর নতজানু হয়ে
শাশুড়িমাতার দিকে অঞ্জলি বাড়িয়ে দিলেন। পূজ্যপাদ বড়দা একদিন গল্প করতে করতে
বলেছিলেন—গ্রহণের এমনতর স্বর্গীয়ভাব কখনও দেখিনি। দৃশ্যটি দেখে ভাবাবেগে দু’চোখ জলে
ভরে গেল। যেন ঐ দশটাকার জন্যই কাজটি আটকে গেছিল। অন্তর্যামী তিনি। ঠিক সময়ে
এসে শাশুড়ির দেওয়া অর্ঘ্য গ্রহণ করেই চলে গেলেন।
আরেকটি ঘটনার কথা বলা যাক শ্রদ্ধেয় গুরুপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের বিবরণীতে—পাণিহাটির
আমাদেরই ইষ্টলতা নারায়ণ দাসদা তার প্রথম দুটো ছেলে হয়ে মারা যায়। তাঁর স্ত্রী, পুত্রের
বিয়ােগ ব্যথায় পাগল হয়ে ওঠেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে এসে নিবেদন করেন। শ্রীশ্রীঠাকুর তাকে
বলেন—তুই বড়বৌ-এর কাছে গিয়ে বল। শ্রীশ্রীবড়মার কাছে গিয়ে নারায়ণদার স্ত্রী তার ব্যথা
নিবেদন করলেন। শ্রীশ্রীবড়মা ঐ মায়ের ব্যথা অনুভব করে ব্যথা ভরা করুণ কণ্ঠে বললেন—
তুই কাদিস না, তাের ছেলে হবে। এরপর আবার যখন তুই আসবি তাের ছেলে কোলে নিয়ে
আসবি। হলও তাই। নারায়ণদার একটি ছেলে হল। শ্রীশ্রীঠাকুরকে সেই ছেলে দেখানাের জন্য
অস্থির হয়ে উঠলেন। নারায়ণদার স্ত্রী ছয়মাস বয়স হতেই ছেলে কোলে করে শ্রীশ্রীঠাকুরে
পার্লারের সামনে উপস্থিত। বেলা তখন আড়াইটা। পাহারাদার শশাঙ্ক গুহদা। তিনি বললেন—
শ্রীশ্রীঠাকুর এখন ঘুমাচ্ছেন। এখন দেখা হবে না। এই কথা বলতে বলতেই ঘরের মধ্যে থেকে
একটি দাদা বেরিয়ে এসে বললেন—শ্রীশ্রীঠাকুর বলছেন ছেলে নিয়ে কোন্ মা দাঁড়িয়ে আছেন,
তাকে আসতে বললেন। নারায়ণদার স্ত্রী ছেলে কোলে করে শ্রীশ্রীঠাকুরের সামনে উপস্থিত হতেই
তিনি বললেন ‘কৃষ্ণ নিয়ে এসেছিস? যা বড়বৌর কাছে নিয়ে গিয়ে দেখা। মা-টি আহ্বাদে
আটখানা হয়ে ঠাকুরঘর থেকে বড়মার ঘরে এলেন। আবার কিছুদিন যেতে না যেতেই আর
একটি ছেলে হল। তাকে নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে এলে তিনি হাসতে হাসতে বললেন—“যা
বড়বৌ-এর কাছে নিয়ে যা’। বড়মার কাছে নিয়ে গিয়ে মেঝেতে শুইয়ে দিলেন। বড়মা ছেলেটিকে
দেখে বলরাম’ বলে সম্বােধন করলেন। এসব ঘটনা কি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়? এ যেন কাকে
বন্দি কাকে রাখি দোনাে পাল্লা ভারী।
(সূত্র : জয়তু জননী মে, পৃঃ ৭০-৭১)
পাবনার আশ্রমে থাকাকালীন শ্রীশ্রীবড়মা সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আরও
বলেছিলেন—শ্রীশ্রীঠাকুর এক জায়গায় থাকতেন না। কোন নির্দিষ্ট স্থানে বেশিদিন থাকেননি।
কখনও তিনি পদ্মার ধারে পদ্মার চরে আছেন, মাতৃমন্দিরের উত্তরদিকে বাবলাতলায় আছেন,
বিশ্ববিজ্ঞানে আছেন, রসৈষণা মন্দিরের সামনে আছেন। মেকানিক্যাল ওয়ার্কসপের মধ্যে আছেন।
বহু মানুষ পরিবেষ্টিত হয়ে সর্বত্রই তিনি থাকতেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের ভােগের সময় হলে শ্রীশ্রীবড়মা
সেখানে উপস্থিত থাকতেন। অনেক জায়গার কথা মনে পড়ে। শ্রীশ্রীবড়মার জন্য বাথরুমের
কোন সুবন্দোবস্ত ছিল না। তাকে কোনদিন ঘুমাতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। শ্রীশ্রীবড়মাকে
দেখতাম সদাজাগ্রত। কখনও তিনি বই পড়েছেন, কখনও মানুষজনের কথাবার্তা শুনেছেন,
কখনও শ্রীশ্রীঠাকুরের ভােগের রান্না নিজহাতে করছেন। বিকালবেলায় শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে একটা
পাত্রে ছানা হাতে করে উপস্থিত হতে দেখেছি। শ্রীশ্রীঠাকুর পূজনীয় কাজলদার ঘরের বারান্দায়
মােড়ায় বসে একটা বাটিতে করে রসগােল্লা খাচ্ছেন। কুতুন সেখানে উপস্থিত হতেই শ্রীশ্রীঠাকুর
কিছুটা খেয়ে খাওয়ার বাটিটা কুতুনের হাতে দিয়ে বললেন—খা, খেয়ে জায়গা মতন দিয়ে
আসিস। শ্রীশ্রীবড়মা ঘরে উপস্থিত ছিলেন। বড়মার হাতে পাত্রটা দিয়ে কুতুন চলে এল। এইরকম
কত যে খুঁটিনাটি ব্যাপার যে আছে তার হিসাব নিকাশ নেই। কারও বিয়ে বা উপনয়ন হবে,
এবড়মা সেখানে উপস্থিত। সােনার আংটি, চাল-ডাল কাঁসার বাটি সহ নিয়ে যেতেন দূর
গ্রামে কারাে বাড়িতে শুভ কাজের আয়ােজন হলে। আশ্রমের দু'চারজন মাকে সঙ্গে নিতেন।
সর্বকাজে তিনি সদাজাগ্রত থাকতেন, কার বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে না হচ্ছে সব খবর রাখতেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন বলছিলেন—বড়বৌ না থাকলে আমি এত কাজ করতে পারতাম না।
(সূত্র ঃ জয়তু জননী মে, পৃঃ ৭২-৭৩)
ঠাকুর একটি পত্রে বড়মাকে বিশিষ্টভাবে সম্বােধন করে স্বামীর সংসার কিভাবে পরিচালিত
করতে হয়, তার শিক্ষা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন—তুমি সাধ্বী সতী, স্বামীপরায়ণা,
তােমাকে আর আমি কি শিক্ষা দিব বরং আমিই তােমার নিকট তােমার স্বামীভক্তি শিক্ষা করার
উপযুক্ত। পার তাে তুমিই আমায় যতদূর পার চালাইয়া লইও।
যে-স্ত্রী স্বামীকে সাক্ষাৎ দেবতা জানিয়া স্বামী-সেবা দেব-সেবা মনে করিয়া স্বামীর সুখে সুখিনী,
স্বামীর দুঃখে দুঃখিনী হয়, যে রমণী স্বামী ভিন্ন আর কিছুই জানে না—এমন দেবীর নিকট
আমার অনেক শিক্ষার আছে। তবে আজ যাই।
আমার কয়েকটি কথা—
১। নিজে স্বার্থশূণ্য হইয়া পরােপকারে যত্নবতী হইও। পরােপকার তুল্য আর জগতে কি
আছে ?
২। মিথ্যা কথা ত্যাগ করা নিতান্ত কর্তব্য। জানি তুমি মিথ্যা বল না, তবুও মানা করিলাম।
৩। গুরুজনকে প্রাণপণে সেবাশুশ্রষা করিও |
৪। কখনও কোন প্রাণীকে ইচ্ছাপূর্বক কষ্ট কিংবা প্রহার করিও না।
৫। রমণীর সতীত্ব রক্ষার চেয়ে আর শ্রেষ্ঠ কিছুই নাই। প্রাণ দিয়াও সতীত্ব রক্ষা করিবে।
(জয়তু জননী মে, পৃঃ ১০)
৬। মনকে সর্বদা শান্ত ও নির্মল রাখিতে যত্নবতী হইও।
৭। কর্তব্য প্রাণপণে পালন করিবে।
৮। চিন্তায় তােমার ভগবানকে সর্বদা হৃদয়ে রাখিবে।
৯। নিজের শরীর ভাল রাখিতে চেষ্টা করিও এবং অন্যের শরীর যাহাতে ভাল থাকে তাহ
করিও।
১০। অকূলে পড়িলে দীনহীন জনে
নুয়াইও শির কহিও কথা,
কূল দিতে তারে সেধাে প্রাণপণে
লক্ষ্য করি তার নাশিও ব্যথা।
শ্রীশ্রীবড়মার সমগ্র জীবনটি শ্রীশ্রীঠাকুরের শিক্ষাপ্রাপ্ত জীবন। শ্রীশ্রীঠাকুর তার পত্রে যে দশবিধ
নির্দেশ দিয়েছিলেন জীবনের প্রথম লগ্নে, তিনি প্রাণপণে মেনে চলেছেন, প্রতিটি কর্মের মধ্যে
তার নির্দেশাবলী প্রতিফলিত করেছেন, মনুষ্যসেবার মধ্য দিয়ে উপদেশগুলিকে জীবন্ত করে
তুলেছেন। সেইজন্যই বােধ হয় ঠাকুর একসময় বলেছিলেন—“আপনাদের ঠাকুর যদি নারী দেহ
নিয়ে জন্মাতেন তাহলে তার যে রূপ হত তা ঐ বড়বৌ।” ঠাকুরের প্রিয়কর্মী চক্রপাণি
দা-র স্ত্রী রেণুমার সন্তান প্রসবকালে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর দুঃখ করে বলেছিলেন
যে, মেয়েরা যদি সুপ্রজনন নীতি (Eugenic principle) ভাল করে আয়ত্ত করতে পারে, তাহলে
তারা শুধু ভাল মেয়ে নয়, ভাল স্ত্রী, ভাল মা ও ভাল শাশুড়ি হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে
তার বক্তব্য ছিল—নারীর নীতি’, নারীর পথে’ বইগুলি বােধ হয় সবাই ভাল করে পড়েনি
কিংবা জেনেও পালন করে না। মােথা কথায় আমি যা বলেছি, ততটুকু যদি করে, মাতা, পিতা
ও সন্তান সকলেরই ভাল হবেই এবং তা সব দিক দিয়ে। জাতির স্বাস্থ্য, আয়ু, ধী ও কর্মশক্তি
দেখতে দেখতে বেড়ে যাবে। বিয়েটা ঠিকমতাে দেওয়া লাগে, বর হওয়া চাই সর্বাংশে শ্রেয়—
বিশেষতঃ বংশে। অনেকে এদিকে খেয়াল-ই দেয় না, তার ফল ভাল হয় না। বরের কুলকৃষ্টি
ও প্রকৃতি এবং কন্যার কুলকৃষ্টি ও প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরণী এবং পরিপােষণী হবে।
কন্যার কুল ও কন্যা নিজে ঐ ছেলেকে পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করবে। এমনতর শ্রদ্ধাপ্লুত
ভাব নিয়ে যে মেয়ে আসে, সে স্বামীর সংসারকে নন্দিত করে সার্থক হয়ে ওঠে, সংসারকে
সে উপচে তােলে তার বুকভরা প্রীতি ও প্রাণন-পােষণী দক্ষতা দিয়ে। সে জানে মনােজ্ঞ ব্যবহার
কাকে বলে—না চাইতেই, না বলতেই যার যখন যেমনটি প্রয়ােজন সে তাই করতে অভ্যস্ত
হয়ে ওঠে। আর মেয়েদের এইসব training (শিক্ষা) ছেলেবেলা থেকেই দেওয়া লাগে। বাপের
বাড়ি থেকে অভ্যস্ত হয়ে এলে তখন আর বিয়ের পরে কষ্টও হয় না। তবে এ সমস্ত করার
মূলে চাই সুকেন্দ্রিক শ্রেয় প্রীতি, তখন সব জিনিসটাই সহজ হয়ে আসে। মেয়েরা যদি পিতৃভক্ত
হয়, তাহলে সেসব মেয়েরা সাধারণতঃ ভাল হয়ই।
(সূত্র : আলােচনা-প্রসঙ্গে, প্রথম খণ্ড, পৃঃ ১২৫)
Comments
Post a Comment