Skip to main content

Posts

Showing posts from May 9, 2021

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী Sri Sri Boroma আরেকটি ঘটনার কথা তিনি উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে শ্রীশ্রীবড়মা কত দূরদৃষ্টিসম্পন্না এবং গভীর প্রজ্ঞার অধিকারিণী ছিলেন। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং লেখক (অজিত কুমার গাঙ্গুলী)—ঘটনাটি হল এই সে আজ ৩০-৩৫ বছর আগের ঘটনা। আসাম থেকে এসেছেন সস্ত্রীক প্রমথচন্দ্র ব্যাপারী। তাঁদের সন্তানাদি নেই। আধুনিক জগতে চিকিৎসাশাস্ত্র এবং গ্রামীণ জীবনের ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্র-মন্ত্র, নানাবিধ কবচ ধারণ, দেবস্থানে হত্যে—সবকিছু করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এসেছেন দয়াল ঠাকুরের শ্রীচরণে। সন্তান না থাকায় নানা জনের নানা কথা, পারিবারিক যন্ত্রণা তাদের জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। তাই হতাশ প্রাণে গভীর ব্যথা নিয়ে পরমদয়ালের কাছে এসে সব নিবেদন করলেন। এঁরা আমার স্বর্গত পিতার মাধ্যমে দীক্ষিত। ব্যথাহারী শ্রীমধুসূদন দয়াল ঠাকুর তাঁদের সবকথা শুনে বললেন—“যা, বড়বৌকে বল।” আমি ওদের নিয়ে শ্রীশ্রীবড়মার কাছে গেলাম। তিনি তখন বসে আছেন বর্তমান মেমােরিয়ার বারান্দার পূর্ব পাশের ছােট্ট ঘরে। আমরা সবে তার ঘরে ঢুকেছি, তিনি বলে উঠলেন—“কিরে রঘুর মা এলি নাকি?” পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম আমরা তিনজন ছাড়া আর ...

বড়খোকার আবির্ভাব

বড়খােকার আবির্ভাব Sri Sri Boroma ১৩১৮ সন—সরসীবালা আসন্ন প্রসবা। কিছুদিন হল তিনি পিত্রালয়ে এসেছেন, প্রসববেদনায় খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু বেদনা হতে মুক্তি পাবার কোন লক্ষ্মণ তখনও দেখা যাচ্ছে না। অগ্রহায়ণ মাস পড়ে গেল। সেদিন শীতের সন্ধ্যাকাশ, পৃথিবী ধূসর। সরসীবালা মা হলেন (৫ই অগ্রহায়ণ) এক পুত্র-সন্তানকে কোলে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে হিমাইতপুরে সে সংবাদ পৌঁছে গেল। সেখানে সকলের মনে সেদিন আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর পুত্র সম্বন্ধে লিখে রাখলেন নিজের ডায়েরীতে। পিতার প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত জনমানসে ধৰ্ম্ম ও কৃষ্টির যে দীপশিখা জ্বলে উঠবে একদিন—তারই ধারক ও বাহক হবে এই পুত্র। শিশুর নাম রাখা হল অমরেন্দ্রনাথ। শ্রীশ্রীঠাকুর ডাকলেন—বড়খােকা। নেপথ্যচারিণী থেকেই শ্রীশ্রীবড়মা এই বড়খােকাকে ধীরে ধীরে বড় করে তুললেন, যােগ্য করে তুললেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন—“বড়খােকা একটা “সেন্টার অফ পিপল” অর্থাৎ লােকের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে—আমি বড় খুশি। বড়খােকার এই যে রূপান্তর যা তাকে মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছিল, তার পেছনে শ্রীশ্রীবড়মার অবদানটি ছিল সবচেয়ে বড়। শ্রীশ্রীঠাকুর তার লােকপালী ও ভাগবৎ জীবন ...

শ্রী শ্রী বড়মার সংসার জীবন

সংসার জীবন   দিদিমার সাধের নাতনি হিমাইতপুরের চক্রবর্তী বাড়ির বড়বৌ হয়ে এলেন এগারাে বছর বয়সে। বিরাট সংসার, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ, আত্মীয়-কুটুম্ব, গরুবাছুর, দাসদাসী নিয়ে জমজমাট সংসার। তিনি সেই অল্প বয়সে বিরাট সংসার দেখে ঘাবড়ে গেলেন না। তিনি যােগ্য দায়িত্ব নিয়ে সেই সংসারকে সুষ্ঠু পরিচালনায় অংশ নিলেন। পুত্রবধূর সংসারে এরূপ নিষ্ঠা দেখে শিবচন্দ্র স্ত্রীকে বললেন—ঐটুকু মেয়ে কি সব পারে। তখন স্ত্রী উত্তর দেন—কি করে জানবাে, বৌমা তাে কোনটাতে ‘না’ করে না। সবেতেই ঘাড় নেড়ে সাড়া দেয়। অসীম ধৈৰ্য্য ধরে সব কাজই তাে সম্পন্ন করছে। তখন শিবচন্দ্র বললেন—তােমার বােঝা দরকার। ঐ ছােট্ট মেয়েটা কেনই বা শ্বশুরবাড়িতে গুরুজনের মুখের ওপর কথা বলবে। বাড়ির গৃহিণীর তাে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে যে ছােট্ট মেয়েটা সারা দিন-রাত খাটা-খাটুনি করছে। এমনি করেই শ্রীশ্রীবড়মা নানাবিধ সংগ্রামের মধ্যে চক্রবর্তীদের সংসারের সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠেন। অনুকূলচন্দ্র এন্ট্রান্স ক্লাসের ছাত্র, সতেরাে বছরের কিশাের, গ্রামের সকলের প্রিয়, গ্রামবাসীদের হৃদয়ের ধন। কত্তামায়ের (ঠাকুরমার) অতটা আবার পছন্দ নয়। মাঝে মাঝে বির...

Buy Your Favourite Satsang Books