Skip to main content

Posts

Showing posts from May 30, 2021

শ্রী শ্রী ঠাকুর হলেন অসুস্থ

বড়মা প্রকৃত অর্থে লক্ষ্মী মা শ্রীশ্রীঠাকুরই ছিলেন বড়মার জীবনে একমাত্র লক্ষ্যস্থল। ব্যক্তিগ ভাবে তার সেবা, বাস্তব অর্থে তার পরিচর্যা করা, তিনি যাতে খুশি হন, তৃপ্ত হন, আনন্দিত হন, সেদিকে তিনি কড়া। নজর রাখতেন। একই দেহে তিনি যে লক্ষ্মী-নারায়ণ, অজস্র ঘটনা থেকে একটি ঘটনা তুলে ধরলে তার সত্যতা প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করা যাবে—একবার জামতলা ঘরে এয়ার কুলার লাগানাের জন্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের ডানহাত অসাড় হয়ে যায়। এই অসুস্থতা চলে ৪২ দিন ধরে। শ্রীশ্রীবড়মা ঐ ৪২ দিন অন্নত্যাগ করেছিলেন। শ্রীশ্রীবড়দার আব্দারে তিনি আধগ্লাস করে লেবুর সরবত খেয়েই শ্রীশ্রীঠাকুরের দিন-রাত সেবা শুশ্রুষায় নিমগ্ন থাকতেন। এই দীর্ঘকাল অনাহারে থাকার জন্যে তার দেহে কোন দুর্বলতার প্রকোপ দেখা যায়নি। দিব্য জ্যোতিতে তার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকত। শ্রীশ্রীঠাকুর যতদিন না সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন, ততদিন শ্রীশ্রীবড়মা এইভাবেই ঠাকুরের অক্লান্ত সেবায় দিন কাটিয়েছেন। ধীরেন ভূক্তদার লেখায় উপরােক্ত ঘটনার সবিস্তার বিবরণ পাওয়া যায়—শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্য জামতলায় একটি ঘর করা হল। ঠাকুর দুপুরে শুয়েছিলেন, খুব গরম পড়েছিল, তাই ঐ ঘরে হিউমিডিফায়ার মেসিন ...

মা ও ছেলের সম্পর্ক

Sri Sri Boroma & Sri Sri Borda মা ও ছেলের সম্পর্ক বড়মার পৌত্রীর স্মৃতিকথায় পাই—“ছেলেবেলায় দেখতাম আমার বাবার প্রায়ই শরীর খS' হতে। শরীর খারাপ হলে আর রক্ষে নেই, সারা বাড়ি নিস্তব্ধ। কেউই চাচামেচি করত ক) জেকে কোন কিছুবই আওয়াজ করা হত না। কথাও বলা হত না। এর ব্যতিক্রম হলে S' ২' ছিল না। বেশি অসুখ হলে ঠাকুমা আসতেন, রাতে কখনও কখনও বাবার কাছে। | শুতও দেখেছি। এমনি ভাল থাকলে ঠাকুমার কাছেই খেতেন। রাত্তিরে দেখতাম বাবার খাবার। ২২ বামুন নিয়ে আসতাে। বড় ঘরের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতাে। গভীর রাতে কখনও। ২২নও ঘুম ভাঙলে দেখতাম বাবাকে খাইয়ে, পরে মাকে খেতে। দুজনে খুব গল্প করতেন। বাবা আমার জন্য একটা ভাতের মাখা দলা রাখতেন, সেটাই পরদিন সকালে উঠে আমি খেতাম। সকালে উঠে আমার দলা চাই-ই-চাই। না হলে চিৎকার চঁচামেচি করতাম। বাবার খাবার ঠাকুমার কাছ হতে নিয়ে আসার নিয়ম ছিল, দেওঘরে এসেও সে নিয়ম ছিল। আমরা পুরান্দায় গোলাপবাগে থাকাকালীন দেবু বাগচী-দা খাবার নিয়ে আসতাে। পরে যখন আমরা নড়ালের বাড়ী'—বর্তমান বাবার বাড়ি ‘ষােড়শ ভবনে’ আসি, এখানেও নিয়ে আসতাে। দুপুরের খাবার, বাড়ির খাবারও খেতেন ইচ্ছ...

দূর্গ স্বরূপ মাতা শ্রী শ্রী বড়মা

মেয়েরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ—দুর্গস্বরূপ ঠাকুর একদিন কথাপ্রসঙ্গে বললেন—মেয়েদের সঞ্চয় বুদ্ধিও দরকার। যখনই সুযােগ পায়, তখনই মেয়েরা যদি কিছু-কিছু সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে বিপদে-আপদে সেটা অমৃতের মতাে কাজ করে। বড়বৌকে তাে আমি বিশেষ কিছুই দিতে পারি না, কিন্তু ও যখন যা পারে জমিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। আমি আবার অসুবিধায় পড়লে তার কাছে হাত পাতি, এক-এক সময় বড় ঠেকায়—বাঁচায়। তাই তােমাদের খুব ভাল শিক্ষা হওয়া চাই। তাহলেই তােমরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ, দুর্গস্বরূপ হয়ে উঠতে পারবে। বাইরের ঝড়ঝাপটা তাদের বিধ্বস্ত করতে পারবে । স্বাস্থ্য বল, কর্মশক্তি বল—সবই তাদের ফুটে উঠবে। নারীত্বের সার্থকতা মাতৃত্বে। প্রকৃত মাতৃত্বের স্ফুরণ যখন হয় মেয়েদের মধ্যে, তখন স্ত্রীর ভিতর দিয়েও স্বামী মাতৃত্বের স্পর্শ পায়। সন্তানের সুস্থি ও পুষ্টির জন্য মায়েরা যেমন একটা পাগলপারা রকম থাকে, স্বামীর জন্যও তখন তেমন হয়। মা যাওয়া অবধি বড়বৌয়ের মধ্যে এই জিনিসটা আমি খুব বেশি করে দেখছি। বেশিরভাগ সময় থাকে তাে বাড়ির মধ্যে, কিন্তু আমি দেখি। তিনটে হাঁচি যদি দিই—তাও সে খবর রাখে। হয়তাে খেতে বসেছি, টক খাবাে, বললাে—আজ আর টক খেয়ে ...

Buy Your Favourite Satsang Books