![]() |
Alochana Prasange 19 th Part |
আলোচনা-প্রসঙ্গ = 19 র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-208-209
খারাপ চিন্তা মাথায় আসলে মানুষ জিজ্ঞেস করে না ***
তারিখ 4 8. ୲ । ୲ --
বাদল-বাংলার বাড়িতে শ্রী শ্রী ঠাকুর প্রাতে । প্রফুল্ল এসে প্রণাম করে শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন -- তাড়াতাড়ি খাতা কলম মুছে ফেল । একটা কথা মনে পড়ে গেল । তাড়াতাড়ি লিখুন ---
কলম ও খাতা মুছে শ্রীশ্রীঠাকুর বলতে শুরু করলেন প্রফুল্ল ---
′′ হেই! যা মনে আসে
এবং এটা এরকমই হতে দাও,
মানুষের কল্যাণই বলে,
অচিউতা ইস্তানুরাগ থেকে এটা একই --
কি তীব্র সংবেদনশীলতায়;
এর ভিতরে কুৎসিত ---
এই ধরনের ভিতরে -- এটা দাও
প্রস্থান পাওয়া যাবে;
ঈশ্বরের নবী জনার্দন,
'পৃথিবী' থেকে তৈরি আবেগময় গল্প
এবং, চলো ভূত হই;
সে মানুষের বিবর্তন চায় ---
কথায় ও কাজে যাই করো না কেন,
এভাবেই তুমি জেগে উঠবে,
প্রথমে সে এটা মেনে নেয়,
শুধু চিন্তার জন্য নয়,
এবং এভাবেই সে এটা করে
যে কোন কিছুর জন্য সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষা,
কুৎসিত যাই হোক না কেন - যেকোন কিছু সাহায্য করতে পারে
নন্দনায় বাড়াতে চাই,
এজন্যই সে জনার্দন । ′′ (7-20 মি,)
পরে এই প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন -- মানুষের ভেতরে যতই খারাপ আসুক না কেন, সে যদি কাজ করে এবং ভাল কাজ করে উপেক্ষা করে, তাহলে সে ধীরে ধীরে ভাল হয়ে যাবে । এবং এই অপকর্ম দূর করে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে প্রথমবারের মত । মানুষ যাই করুক না কেন, যদি সে পূরন হয়, তাহলে সে একটা কাজই সফল হয় । অন্যথায় বিচ্ছিন্ন কিছু ভাল কাজ মানুষের ব্যক্তিত্বকে ভাল করতে পারে না । এই মাত্র বক্তব্য দিলাম, এভাবে হাটলে একজন মানুষ বেচে যাবে । সে শুধু নিজেরই উপকারী নয়, পরিবেশও উপকারী । মানুষ তখনই জিজ্ঞেস করে না যখন কোন খারাপ চিন্তা মাথায় আসে । সত্য তখনই বলা হয় যখন আপনি কি করেন, আর কি খারাপ তা পুষ্টির অভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল ও অবক্ষয় হয় ।
(আলোচনা-প্রসঙ্গ = 19 র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-208-209)
Extra Story:
যোগেশদা--- বিবাহ-বিচ্ছেদ যারা অনুমোদন করেন, তারা এ-কথা বলেন না যে, সব ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। অনিবার্য্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রেই তারা এ পথটা খোলা রাখতে চান, যাতে অপরিহার্য্য স্থলে এটার সুযোগ গ্রহণ ক'রে হতভাগ্য নারীপুরুষ অসহনীয় ব্যর্থতা ও জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে।
শ্রীশ্রীঠাকুর--- কতগুলি ক্ষেত্র আছে, যেখানে শাস্ত্রানুযায়ী বিবাহই অসিদ্ধ। যেমন প্রতিলোম বিবাহ। বিবাহ যেখানে অসিদ্ধ, সেখানে বিচ্ছেদের কথা আসে না। নইলে শাস্ত্রসিদ্ধ বিবাহ যেখানে,তা' অচ্ছেদ্য ও অচ্যুত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ফলকথা, সদৃশঘরে বিধিমাফিক সঙ্গতিশীল বিবাহ যদি হয়, সেখানে মিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিবাহের আগে সবদিক দেখেশুনে মিল করে বিবাহ দিতে হয়। বিবাহ বন্ধন অচ্ছেদ্য ও অচ্যুত---স্বামী-স্ত্রীর মনে এই স্বীকৃতি থাকলে, তাতে পারস্পরিক প্রীতি, ক্ষমা, সহ্য, ধৈর্য, অধ্যবসায় ও সেবার ভিতর দিয়ে উভয়ের ব্যত্যয়ী চলন ক্রমনিয়ন্ত্রণে সঙ্গতিশীল হ'য়ে ওঠার সম্ভাবনাই বেশি। তাতে বিশৃঙ্খলা অনেকখানি সুশৃংখল হ'য়ে উঠতে থাকে। সুপ্রজননের আশাও অনেকখানি মূর্ত্ত হ'য়ে ওঠে, এবং ছিন্নব্যক্তিত্বের আমদানি হয় কমই। আর, মানুষ যদি দুঃখকষ্ট সত্বেও আপনজনের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন না করে, তার দোষ-ত্রুটি থাকলেও তাদের সঙ্গে স'য়ে-ব'য়ে নেয়, তাতে তার যে খুব-একটা ক্ষতি হয়, তা কিন্তু নয়। বরং নারীপুরুষ এর ভিতর দিয়ে অনেকখানি মহত্ত্ব অর্জন করে। ভাল যে, তাকে তো সবাই ভালবাসতে পারে। মন্দ যে, তাকে কজন ভালবাসতে পারে ? এই ভালবাসা পেয়ে আবার দেখা যায়, কতজনের জীবন বদলে যায়। স্বামী হয়তো মাতাল, বেশ্যাসক্ত, স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার করে ; সেই স্বামী স্ত্রীর সেবাপরিচর্য্যায় সোনার মানুষ হ'য়ে যায়। এরকম ঘটনা যথেষ্ট ঘটে। স্ত্রীর অত্যাচারও পুরুষরা কম সহ্য করে না। এইভাবে সংসার চলে। ছেলেটা যদি বেয়াড়া হয়, তাহ'লে কি তাকে তাড়িয়ে দিতে হবে নাকি ? তাহ'লে সে দাঁড়াবে কোথায় ? কোন্ আশ্বাসে, কিসের আশায় নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে চেষ্টা করবে ? ভালবাসাই তো মানুষকে বাঁচায়, ভালবাসাই তো মানুষকে ফেরায়। সংসারে যদি তার অনটন প'ড়ে যায়, তবে সংসার চলবে কি ক'রে ? জ'ড়ে গ'ড়ে থাকবে কি করে? বিশেষ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়ে সাময়িক ঠাঁইনাড়া হ'য়ে থাকতে পারে। কিন্তু নারায়ন সাক্ষ্য ক'রে যে বিবাহ হয় সে বিবাহ হ'ল একটা sacrament (পূত-অনুষ্ঠান), তার বিচ্ছেদ হবে কেন? দুটো-চারটে ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদের অনুমোদন যদি থাকে, তাহ'লে দেখা যাবে, অনেকেই তার সুযোগ গ্রহণ করতে চেষ্টা করছে।ব্যত্যয়ী চলনওয়ালা যারা, তারা আবার নিজেদের দল বাড়াতে কসুর করবে না।.... কোনটায় সুবিধা বেশি, অসুবিধা কম--- ভেবে দেখতে হয়। যে-সব দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদ আছে, তাদের তো শুনি, পারিবারিক জীবনে অশান্তির অন্ত নেই। আমরা কি খাল কেটে সেই কুমীর ডেকে আনব? বিবাহ-বিচ্ছেদ হ'লে ছেলেমেয়েরা মা থাকতে মা পাবে না, বাবা থাকতে বাবা পাবে না--- এইরকম একটা অসহায় অবস্থার সৃষ্টি হবে। আপনি-আমি যদি ওই অবস্থায় পড়ি, তাহ'লে কেমন লাগে?
Comments
Post a Comment