![]() |
Rev. Babaida |
!!পূজনীয় বাবাই দাদার আলোচনা!!
ঠাকুরের যে আশ্রমে আমি থাকি তার পেছনে গ্রামের একটি ছেলে আশ্রমের কাজে সহযােগিতার জন্য আসে।সেই ছেলেটির একটি বাচ্চা আছে আট বছর বয়স।বাচ্চাটি খেলাধূলা করতাে হঠাৎ এমন অসুস্থ হল যে তার চলন শক্তি নষ্ট হয়ে গেল। সে পড়ে যায়।এসে আমাকে বলছে, 'দাদা বহু চিকিৎসা করালাম আমার ছেলের কোন উন্নতি হল না।ছেলে এখন হাঁটতে পর্যন্ত পারেনা।কি করবাে?' আমি আমার একজন সাথিকে বললাম ইন্টারনেট খুলতে। ইন্টারনেট খােলার পর সেই ছেলেটি রােগ সম্বন্ধে যা যা বলেছে তা লিখে দেখা গেল ইন্টারনেট থেকে সম্ভাব্য যে রােগ নির্ণয় হল, সেই রােগ সারানাের মতাে কোন চিকিৎসা এলােপ্যাথিতে নেই। তখন আমি ভুবনেশ্বরে আমার পরিচিত এক আয়ুর্বেদিক শিক্ষক আছে তাকে ফোন করলাম।তিনি একটি ওষুধ বলে দিলেন।সেই ওষুধ দেওঘর বাজার থেকে এনে সেই ছেলেটির হাতে দিয়ে বললাম, 'তোর বাচ্চাকে খাওয়াবি।' সেই বাচ্চাটি সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেল। আজও সুস্থ আছে। আমি এই ঘটনাটি এইজন্য বললাম যে আমি যন্ত্রের সাহায্যে একটি জ্ঞান ভাণ্ডারকে খুলে সম্ভাব্য রােগ নির্ণয় করি এবং তাই অনুযায়ি নিজের ঝুঁকিতে একটি চিকিৎসা করলাম। এবার আমি বলি, যারা অসুস্থ, বয়স হয়ে গেছে, ইন্টারনেট ইত্যাদি সব ব্যবহার করতে পারবেন না, তারা, বাড়ির বাচ্চারা আছে এরা ইন্টারনেট ঘাটতে পারদর্শী, তাদের সাহায্য নিন। তাদের কাছ থেকে জানুন কি করতে হবে। কি খেতে হবে, কেমন ভাবে চলতে হবে। আপনার নিজের একটি ধ্যান ধারণা তৈরি করুন নিজের থেকে। তারপর সহজলভ্য ভালাে চিকিৎসক হাতের কাছে পেলে তাদের সাথে যােগাযােগ করুন।
শেষে বলি সবসময়ে আনন্দে থাকুন। ছোটবেলায় ভুতের ভয় লাগলে বলতো 'রাম, রাম, রাম' তাই আমি বলি, রােগ হলে 'আনন্দে থাকুন, আনন্দে থাকুন, আনন্দে থাকুন', রােগ পালাবে। যেখানে হতাশা, দুঃখ, যেখানে দুর্দশা, সেখানে অবদমিত মন হয়ে থাকে, সেখানে রােগ আগে এসে ধরবে। আর যেখানে উৎসাহ, আনন্দ, সেখানে রােগ পালাবে। বাতের জন্য হাঁটুতে ব্যথা হয়েছে , এই বাতের ব্যথা চলে যাবে না। এই ব্যথা ওষুধ খেলে বা ব্যবহার করলে কিছুটা প্রশমিত হতে পারে কিন্তু যাবে না। হাঁটুতে ব্যথা হয়েছে কিন্তু দাঁতে তাে ব্যথা হয়নি তাই আমি হাসতেই পারি।
(সংকলক: ড. জীবন চক্রবর্ত্তী)
(সংগৃহীত:-ইষ্টায়ণ)
Comments
Post a Comment