![]() |
Diprokkhi |
সুশীলদা(বসু)-----বৈষ্ণবশাস্ত্রে তো পুরুষ একজন এবং আর সকলেই প্রকৃতি।
শ্রীশ্রীঠাকুর--জীবমাত্রেই প্রকৃতি, মানে production of প্রকৃতি(প্রকৃতির প্রসব)।
ভালবাসা নিয়ে আরো আলোচনা চলছে ----------
জনার্দ্দনদা (মুখোপাধ্যায়) ---আমরা বাইরে ঘুরি নানা জায়গায়। কোথাও যদি কেউ আমাকে ভালবাসে -?
শ্রীশ্রীঠাকুর-------তার ভালবাসা ছড়িয়ে দাও,কিন্তু তুমি কারো ভালবাসা নিতে যেও না। আর,কাউকে ভালবেসে কৃতার্থ হ'তে যেও না।
জনার্দ্দনদা (মুখোপাধ্যায়)--যারা ভালবাসে তাদের উপর
করনীয় কী-?
শ্রীশ্রীঠাকুর---ভালবাসবে তার মত। কিন্তু তার ভালবাসা পেয়ে বা তাকে ভালবেসে কৃতার্থ হ'তে যেও না। আর,
যেখানে ভালবাসা থাকে, সেখানে মানুষ obsessed (
অভিভূত) হয় না। তোমাদের অমনি হোক পরম পিতার
দয়ায়। শালা বেদের ছেলে হও।
( সুর ক'রে) যাদুকরের মেয়ের মত
কত রঙ্গ তুই মা জানিস্।
তাই,তোমরাও তেমনি হও।
(সুর ক'রে) যাদুকরের ছেলের মত
কত রঙ্গ তুই রে জানিস্।
আমি কেমন তা' আমি জানি না। কিন্তু তোমাদের এমন
দেখতে ইচ্ছে করে। যাই হোক,ইষ্টার্থকে কিছুতেই-------- বিসর্জ্জন দিও না। আর,খুব cordial ( হৃদ্য ) হও।
চুনীদা (রায়চৌধুরী) ---কিন্তু মানসিক জগতে হয়তো অনেক সময় বিক্ষেপ হ'তে পারে।
শ্রীশ্রীঠাকুর----বিক্ষেপ হবেই না। তুমি যদি with every sincerity (সদর্ব আন্তরিকতা দিয়ে)কাউকে ভালবাসো,
তাহলে সেই আত্মা যাকে বরণ করে সেইরকমটা হয়। এই হ'লে কিছু হবে না-। মন তো অনেক নীচে। আসল
হ'ল বোধ আর যোগাবেগ।
আমি--- যোগাবেগটা কেমন-?
শ্রীশ্রীঠাকুর--যোগাবেগ না হ'লে বোধরেই সৃষ্টি হয় না।
আবার,কারো প্রতি ভালবাসা না আসলে কোন সম্বন্ধেই
বোধ গজায় না। intelligence (বোধি) মানেও তো তাই
---to choose between (বেছে ঠিক করা।)
পরে জনার্দ্দনদা বলছেন -----
শ্রীশ্রীঠাকুর---কোটিল্য বহু রকমের আছে। মৈত্রী------ কৌটিল্য,কাম--কৌটিল্য, ক্রোধ-কৌটিল্য,গ্রহ-কৌটিল্য,
এমনি বহু কৌটিল্য আছে। আর,কৌটিল্য হল---কোন
বিষয়কে good purpose- (শুভ উদ্দেশ্যে) খেলিয়ে দিয়ে তাকে যোগ্যতায় অভিদীপ্ত ক'রে তোলা।
ক্রমশঃ---------,পৃষ্ঠা-১০+১১,
"দীপরক্ষী"( প্রথম খন্ড)
-- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র।
Extra:
আশ্রমের পাড়ে ফুলকপি চাষ করতেন এক ব্যক্তি । তার বাঁধাকপি চুরি হয়ে যেত । সে খুব রেগে গেল আর ভাবল কবে যে ঐ চোরটাকে লাল হাতে ধরব । চোর চুরি করতে এসে চোরকে ধরে সোজা ঠাকুরজির কাছে নিয়ে গেল । ঠাকুরজী এখন চিন্তায় বসে আছেন ।
ঠাকুরজী বললেন --- চুরি কি?
বলেছে --- ফুলকপি চুরি হয়েছে ।
ঠাকুরজী বললেন --- ঠিক আছে, মাঝখানে ওকে একটা বাঁধাকপি দাও ।
যে চোর ধরা পড়েছে তার নাম ঠাকুরজী, তাকে তুমি বাঁধাকপি দিতে থাকো । এখন গুরুর নির্দেশ ছিল, মাঝখানে যখনই দেখা হতো তখনই তিনি আমাকে বাঁধাকপি দিতো ।
কয়েকদিন পর ঠাকুরজী ফুলবোবি ফার্ম করা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন - আমি যখন বললাম, তোমার হৃদয় এতে মর্মাহত হয়েছিল ।
তিনি বললেন - হ্যাঁ ঠাকুরজী, খুব কষ্ট পেলাম ।
ঠাকুরজী জিজ্ঞাসা করলেন --- তুমি তাকে কতগুলো বাঁধাকপি দিয়েছ?
বললেন - চার পাঁচটি প্রদীপ দেওয়া হল ।
ঠাকুরজী আবার জিজ্ঞাসা করলেন-কত খরচ হবে?
তখন সব কিছু খুব সস্তা ছিল, তারপর তিনি বললেন --- চার থেকে পাঁচ পয়সার হবে, হয়তো ।
তখন ঠাকুরজী বললেন --- তাহলে চার-পাঁচ পয়সার দাম বেশি, কেউ চোর হচ্ছে না, এটাই বেশি । এটা ঠাকুরজির ধারণা ।
ঋত্বিক সম্মেলনে শ্রদ্ধেয় বাবাই দা
সৎসঙ্গ দেওঘর 1 জানুয়ারী 2014
আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের নিজের মতো করে ঈশ্বরকে ভালোবাসি । যেমন আর কেউ ভালোবাসে না । বিপদ যখন আমাদের আসে -- বিপদের সময় আমরা প্রত্যেকে তার কথা মনে রাখি । বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, কারো কথা মাথায় আসে না । বিধাতা তুমি আর আমি সেই বিপদের সময় । আমার মনের কোণে তুমি ছাড়া কেউ নেই । তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় । বিপদের সময় মনে করিয়ে দেয় সে আমাদের প্রিয় । সে যা পেয়েছে তা স্থিতিশীল, কিন্তু তার জন্য কি মহান কাজ । চল প্রেম করি, সালাম দেই, জাজ্জ করি -- সবই আমাদের জন্য । তোমার জন্য কিছুই কাজ করতে পারবে না । আমাদের প্রার্থনা, প্রভু তোমার সেবা করার অধিকার দাও ।
ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে আমরা এই মহা সভা থেকে অঙ্গীকার নিব যা আমাদের খুশি করে এবং কারো নিরুৎসাহিত করবে না । কারণ এটা তোমাকেও খুশি করবে । প্রভু দয়া করে আমাকে তোমার দাস বানিয়ে দাও ।
(′′ আলোচনা ′′ পত্রিকা ফেব্রুয়ারি 2014)
জয় গুরু
Comments
Post a Comment