![]() |
Sri Sri Thakur and Istabhriti |
দুইজন স্বামী -স্ত্রী ভিক্ষুক ছিল। তারা ভীক্ষা করে জীবন নির্বাহ করত। তারা ভীক্ষা করতে যেত আর প্রায়ই শুনত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিলে নাকি উন্নতি হয়। তারাও ভাবল আমরা তো গরিব ভীক্ষা করে জীবন চালাই, আমরাও দীক্ষা টা নিয়ে নেই তাহলে আমাদেরও উন্নতি হবে আর ভীক্ষা করে খেতে হবে না। তারা দুজনেই দীক্ষা নিল। এভাবে কেটে গেল এক বছর। মানুষ বলত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিলে উন্নতি হয় কিন্ত আমাদের জীবনে তো এত উন্নতি হল না। আমরা আগেও ভীক্ষা করে খেতাম এখনও ভীক্ষা করেই খাই, তাহলে লাভ কি হল? আমরা যে ১ বছর ইষ্টভৃতি করেছি আর পাঠিয়েছি চল সেগুলি গিয়ে ঠাকুরের কাছ থেকে ফেরত আনব। তারা ইষ্টভৃতি টাকা ফেরত আনার জন্য দেওঘর রওনা দিলেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর বড়দাকে বললেন- বড়খোকা দুইজন লোক আসছে তাদের এত টাকা ইষ্টভৃতি সেগুলি আলাদা করে রাখ আমি যখন বলব তখন তাদের দিয়ে দিবি আর বলবি টাকা নিয়ে আমার কাছে আসতে। তারা যখন মন্দিরে আসলেন তখন দেখলেন এত মানুষের সামনে কি করে ইষ্টভৃতির টাকা চাইবেন,,,, কিন্ত শ্রীশ্রীঠাকুর তাদের দেখেই বললেন যা বড়খোকার কাছে ইষ্টভৃতির টাকা রাখা আছে। বড়দার কাছে যখন ইষ্টভৃতির টাকা আনতে গেল তখন বড়দা বললেন শ্রীশ্রী ঠাকুর বলেছেন ইষ্টভৃতির টাকা নিয়ে ঠাকুরের কাছে দেখা করে যেতে। তারা ঠাকুরের কাছে যাওয়ার পর ঠাকুর বললেন এই টাকাগুলি দিয়ে বিষ্কুট কিনে কুকুরকে খাওয়া। তারা ঠাকুরের কথামতো ইষ্টভৃতির টাকা দিয়ে বিষ্কুট কিনে কুকুরকে খাওয়াল। কুকুরগুলি বিষ্কুট খাওয়ার সাথে সাথেই মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগল,, কুকুরদের এরকম ছটফটানি দেখে আশ্রমের কয়েজন কর্মী এদের ধরে আনল আর বললো -ঠাকুর এরা বিষ্কুটে কি মিশিয়ে খাওয়াচ্ছে তাই কুকুরগুলি এখন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে।
তখন ঠাকুর বললেন আমিই এদের বলেছি ইষ্টভৃতির টাকা দিয়ে বিষ্কুট কিনে খাওয়াতে।
ঠাকুর তখন ভীক্ষুকদের বললেন-- যারা আমাকে প্রাণপণে ইষ্টভৃতি দেয় আমি তাদের ইষ্টভৃতি নিজ হাতে গ্রহণ করি। আমি তাদের আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করে থাকি। তাদের সব পাপ-তাপ আমি বহন করি। যারা ঠিক-ঠিক ভাবে ইষ্টভৃতি করে তার অপমৃত্যু কখনও হতে পারে না।
যতই আসুক আপদ বিপদ
যেমনি হোক প্রাণ,
ইষ্টভৃতি আনেই আনে
সবার পরিত্রান।
~~শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।।
হ'স্ না যোগী, হ'স্ না ধ্যানী,
গোঁসাই-গোবিন্দ যা'ই না হ'স্ ,
যজন-যাজন-ইষ্টভৃতি
না করলে তুই কিছুই ন'স্ ।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-- অনুশ্রুতি ১ম খণ্ড।
Comments
Post a Comment