![]() |
Sri Sri Thakur and Education |
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-- আমার মতে সবার থেকে প্রথম স্কুল হ'ল বাড়ী। প্রথমে নিজের ঘরের মধ্যে ভাবধারাটা infuse (সঞ্চারিত) ক'রে সবাইকে ঐ চলনায় চলতে এমনভাবে অভ্যস্ত ক'রে তোল,যাতে ওরা ওটা অনুসরণ না ক'রেই পারে না। ঐই হ'ল আসল স্কুল। তারপর university (বিশ্ববিদ্যালয়) মানেই unity in diversity (বিভিন্নতার মধ্যে একত্ব)। Versity-র (ক্ষুদ্র অংশের) মধ্যে versatility (বহুশাস্ত্রে বিচক্ষণতা) আছে। Versatility-কে (বহুশাস্ত্রে বিচক্ষণতাকে) যা' unity-তে (একত্ববোধে) পৌঁছায়ে দেয় মানে একায়িত ক'রে তোলে,তাই হ'ল university (বিশ্ববিদ্যালয়)।
সত্যদা-- আমাদের দেশের university (বিশ্ববিদ্যালয়)-গুলো কিরকম ছিল?
শ্রীশ্রীঠাকুর- হ্যাঁ,মনে কর,সেই শাণ্ডিল্য,বশিষ্ঠ বা ভরদ্বাজ,এ'দের আশ্রমে কী হ'ত? ওঁরা ছিলেন সেখানকার principal (অধ্যক্ষ)। যারা student (ছাত্র) তারা সকলেই ঐ এক principal-এর (অধ্যক্ষের) under-এ (অধীনে) থাকত। তিনিই ঠিক ক'রে দিতেন কে কী পড়বে। এইভাবে শিখতে শিখতে এক-একজন ছাত্রই পরে আবার professor (অধ্যাপক) হ'য়ে উঠত। ঐরকমের একটা ছোট্ট model (নমুনা) ঐ আশুতোষ মুখুজ্জে।
১লা পৌষ,বুধবার,১৩৬৫ (ইং ১৭/১২/১৯৫৮)।।
দীপরক্ষী ৪র্থ খণ্ড।।
আলোচনা প্রসঙ্গে ⚘দশম খন্ড ।পৃষ্ঠা -২৭।২৩ শে পোষ,বৃহস্পতিবার,১৩৫৪(ইং ৮৷১৷৪৮)
⚘ শ্রী শ্রী ঠাকুর সকালে গোল তাঁবুতে এসে বসেছেন । কেষ্টদা ( ভট্টাচার্য),
দক্ষিণাদা ( সেনগুপ্ত),হরেনদা (বসু) প্রভৃতি কাছে আছেন ।
⚘শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন- publicity খুব দরকার । Paper publicity (খবরের কাগজে প্রচার) না হলে idea ( ভাবধারা)ও পরিবেশন হয় না,লোকেও interested (অন্তরাসাঁ) হয় না। প্রথমে লোকে হয়তো মাথায় নেয় না,কান দেয় না,কিন্তু ক্রমাগত পরিবেশন হতে থাকলে লোকেরindifference (ঔদাসীন্য)ও resistance (প্রতিরোধ কমে যায় , তখন কথাগুলির⚘ যুক্তিযুক্ততা বুঝতে চেষ্টা করে জীবন কে ভালবাসে সকলেই,প্রত্যেকে তার মতো করে একটা অভিজ্ঞতা আছে।জীবনের পক্ষে মঙ্গল-জনক যে কথা,সে কথা ঠিক ভাবে পরিবেশন করতে থাকলে মানুষ তা না নিয়ে পারে না।একটা মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে ভাল কথা বলতে থাকলে,তার কথা মেনে নিতে অনেক সময় মানুষের অহং এ বাধে।কিন্তু লেখার মাধ্যমে সে কথা পেলে,তখন পাঠকের⚘ অহমিকার রেনোয়া অতখানি চোট লাগে না।মনে ধরলে সহজে সায় দিতে পারে।তাই কাগজের মাধ্যমে যাজনের কিছুটা সুবিধা আছে । অবশ্য সেই সঙ্গে চাই ব্যক্তিগত যাজন।মানুষের অহং কে উদ্বেজিত ও উত্তেজিত না করে বাজিতের আপনজন হয়ে ,তার অন্তরে প্রীতির আসন অধিকার করে নিয়ে যাজন করতে হয় । কর্মী ও সৎসঙ্গীদের যাজনমূখর করে তোলার জন্য চিঠিপত্র খুব লিখতে হয়। যারা চিঠি লিখবে তাদেরও খুব যাজনমূখর হওয়া লাগে।⚘
---- যজন ও ইষ্টভৃতিকে ঐ তালে অটুট রেখে।-পরায়ণ মানুষের কথার দামই হয় আলাদা।তাদের কথার ভিতর পরমপিতার শক্তি কাজ করে
তাঁর আসন ও আমাদের বহুনৈষ্ঠিকতা
ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান,- আমরা তেমনটাই বিশ্বাস করি। নিজের গুরু, ইষ্টদেবতা, পরমারাধ্যকে মনে মনে কল্পনা করেও পূজা করা যায়, প্রার্থনা করা যায়-অবস্থা বিশেষে। কিন্তু আমরা, বিশেষতঃ হিন্দুরা, যার যার পরিবারে একটি আসনে নিজের ইষ্টদেবতার প্রতিকৃতি বা বিগ্রহ বসিয়ে তাঁর সামনে প্রার্থনা করি, ধ্যান করি, পূজা দেই। এটাই আমাদের সংস্কৃতি, এটাই আমাদের রীতি।
স্বামী বিবেকানন্দকে এক বিদেশি নিরাকারবাদী প্রশ্ন করেছিলেন,-" মূর্তি পূজা বা পুতুল পূজার কি প্রয়োজন? ঈশ্বর কি মূর্তিতে বা প্রতিকৃতিতে উপস্থিত থাকেন? এটা কি ধরনের বোকামি?"
উত্তরে স্বামীজি খুব সুন্দর করে বলেছিলেন,-" ধরুন, আপনি আম খেতে খুব ভালবাসেন। কেউ যদি হুবুহু গাছের পাকা আমটির মত দেখতে একটা মাটির আম আপনার সামনে প্লেইটে রেখে দেয়,- আপনার জিহবায় জল চলে আসবে। ঠিক তেমনি আমি যাকে ভালবাসি, যিনি আমার প্রিয়পরম, জীবনসর্বস্ব তিনি আমার চিন্তায়, স্মরনে হয়ত সর্বদাই আছেন কিন্তু যখন তাঁর কোন প্রতিকৃতি বা মূর্তি দেখি তখন তাঁর কথা বেশী মনে পড়ে, আমার মনোযোগ তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়, আমি তাঁর উপস্থিতি বোধ করি৷ এটাই মূর্তি পূজার সার্থকতা।"
ঠিক তাই। আমাদের ঘরে যখন ইষ্টদেবতার আসন থাকে তখন আমরা বোধ করি তিনিও আমার পরিবারের একজন সদস্য,- আমার পরিবারের কর্তা। শুধু বোধ করি না,- আচরনে ও সেইরূপ করে থাকি। তাঁকে ভোগ দেই, স্নান করাই, নিদ্রা দেই, - জীবন্ত বোধে যা যা করার করি। তাতে আমাদের টান গজায় তাঁর প্রতি, তাঁকে আপনজন মনে হয়, - তাঁর কথামত নিজেকে গড়ে তুলতে ইচ্ছে হয়। আমি সংসারের যত সুখ-দুঃখ, জ্বালা-যন্ত্রনা, আনন্দ- সব তাঁর কাছে ব্যাক্ত করি। যে ব্যাথা আর কাউকে বলা যায় না,- সে কথা তাঁর কাছে বলে মনে শান্তি পাই, শক্তি পাই। তাতে আমাদের মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে। আনন্দে থাকি সবাইকে নিয়ে। জীবনটা অনেক সহজ হয়।
ইষ্টদেবতার প্রতি আমার বোধ যত গভীর, টান যত বেশী,-আমার পরিবারে তাঁর আসন তত সুন্দর, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও গোছানো থাকে। খুব দামী আসনে, চাকচিক্য ভাবে তাঁকে রাখলেই যে ভক্তি হয়ে গেল, - তা নয়৷ যত্নের ও বোধের ছাপ দেখেই বুঝা যায় আমার ভক্তি ও ভালবাসা কতটুকু। আর, আর যার ইষ্টের প্রতি ভক্তি ও ভালবাসা যত বেশী,- তার সাংসারিক জীবন তত সহজ ও সুন্দর।
তাই তো শ্রীশ্রীঠাকুরের মাতৃদেবী,মাতা মনোমোহিনী দেবী, বলতেন,- " কোন গেরস্তের পরিবারে গিয়ে তার ঠাকুরের আসন আর রান্নাঘর দেখেই ধারনা করা যায় তার পরিবারের শারীরিক ও মানসিক অবস্থান কেমন!"পরমারাধ্যা মাতৃদেবীর এই কথাটি ধ্রুব সত্য। যার রান্নাঘর যত পরিপাটি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, সদাচারসমৃদ্ধ তার পরিবারের সকলের শারীরিক সুস্থতা তত বেশী। রান্নাঘর দেখেই সেই পরিবারের মায়ের স্বভাব ও আচরন বুঝা যায়। ঠিক তেমনি ঠাকুরের আসন দেখেই বুঝা যায় সেই পরিবারের মানুষদের শ্রদ্ধা-ভক্তি,বোধ ও সংবেদনশীলতা কতটুকু।
গত কয়েকমাস যাবত আমরা এলাকার অনেক গুরুভাইদের পরিবারে গিয়েছি,-তাদের ঘরে ঠাকুরের আসন কেমন আছে দেখার জন্য। এবং প্রয়োজন বোধে আমরা তাদের অনুমতি নিয়ে আসনের কিছুটা সংস্কার করে দিয়েছি।
অনেক পরিবারেই দেখেছি, - ঠাকুরের আসনের খুব করুন অবস্থা। কারো কারো আসনে দেখলাম কাপড় খুব নোংরা, - কবে যে ধোয়া হয়েছে ঠিক নেই। স্পর্শ করার মত অবস্থায় নেই। কারো আসনে লাল হলুদ বিভিন্ন রং এর কাপড় দিয়ে ডেকোরেশন করা। অনেকেরই আসনে শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতির সাথে মা কালী, মা সন্তোষী, বিপদনাশিনী, বাবা মহাদেব ইত্যাদি প্রায় তেত্রিশ কোটির দেবদেবীর ফটো বসানো!! কারো আসনে এত পরিমান ফুল তুলসি পাতা দিয়েছে যে ঠাকুর চাপা পড়ে গেছেন। কোন কোন পয়সা ওয়ালা বাড়ীতে খুব দামী আসন,-কিন্তু এত জ্বলমলে সাজসজ্জা আর লাইটিং করা যে বেশীক্ষন তাকানো যায় না। অনেকেরই আসনে দেখলাম একই ফটোতে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, পূজ্যপাদ বড়দা, আচার্য্যদেব গাদাগাদি করে অটো পেসেঞ্জারের মত বসে আছেন,-কারো মাথা কারো বুকের উপর,-তো কারো পা দেখা নেই। বিভিন্ন রকম ত্রুটি বিচ্যুতি। আমাদের উদ্দেশ্য কারো ভুল ধরা নয়,- সৎসঙ্গী পরিবারগুলিকে সচেতন করা ও আসনগুলি যথাযথ ভাবে ঠিক করে দেওয়া ছিল।
প্রথমতঃ আমার ঠাকুরকে যদি আমি আমার পরিবারের কর্তা ভাবি,জীবন্ত বোধ করি, - তবে তিনি যেমন থাকতে পছন্দ করেন তেমন ভাবেই রাখব। তিনি পছন্দ করেন শ্বেতশুভ্র আসনে, খুব ছিমছাম ভাবে কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকতে। তিনি বাহুল্য পছন্দ করেন না৷ তাই আমার ঘরের আসন যেন শুধু সাদা ই হয়, পরিস্কার থাকে,পরিচ্ছন্ন ও গোছানো থাকে। ফুল- বেলপাতা-তুলসী দিয়ে তাঁকে ঢেকে রাখলেই ভক্তির প্রদর্শন হয় না। ফুল যেন তাঁর অসুবিধা সৃষ্টি না করে,- এই বোধ বাঞ্চনীয়। খুব দামী আসনের কোন প্রয়োজন নেই। খুব লাইটিং, জ্বলমলে রকমারী সাজসজ্জায় তিনি সারাক্ষণ থাকলে অস্বস্তি বোধ করেন,- সেটা আমার বোধে আসা প্রয়োজন।
আমরা প্রতিদিন প্রার্থনার সময় উচ্চারণ করি,- "গুরুর ব্রম্মা,গুরুর বিষ্ণু, গুরুর্দেবো মহেশ্বর। "- অর্থাৎ গুরুই ব্রম্মা, গুরুই বিষ্ণু, গুরুই মহেশ্বের। তাঁর মধ্যে সমস্ত দেবদেবীর সমাহার,- তিনি সকলকেই পূরন করেন। তাই তাঁকে সাধনা করলে,- সকল দেবদেবীর পূজা করা হয়। তেত্রিশ কোটি দেবদেবীকে আলাদা আলাদা করে প্রতিদিন পূজা দিতে হয় না। এটা বোধ, বিশ্বাস ও ভরসার ব্যাপার।
তিনি এক ও অদ্বিতীয়। এই বোধে,- তাঁর আসনে অন্য কোন দেব-দেবীর প্রতিকৃতি রাখা অনুচিত। যদি রাখতেই হয়,- তাঁর আসনে নয়। শুধু তাই নয়,- প্রতিদিন বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করা বহুনৈষ্ঠিকের পরিচয়। নিষ্ঠার ব্যাভিচার!! আমাদের এক কেন্দ্রিক হতে দেয় না। আর, যদি জীবনে এককেন্দ্রিকই না হতে পারলাম তবে সব সাধনা বৃথা। আমার হয়ে উঠা হয়না,- পাওয়াও দূরস্ত। নানা খানে কপাল ঠুকরেই জীবন কেটে যায়। অলৌকিক আশীর্বাদের লোভে নানা দেবদেবীর ফটো আসনে জড়ো করে একটা কিম্ভুতকিমাকার অবস্থা তৈরি করি৷ ভাবি,- কোন দেবতাকেই অসন্তুষ্ট করব না৷ সবার কাছ থেকে যার যার ক্ষমতা অনুযায়ী নানা মাত্রার, নানা রকমের আশীর্বাদ বাগিয়ে জীবনটা নিস্কন্টক করে তুলব। " কি চাহি আর, কি যে না চাই,- কিছুই নাহি জানি।"
প্রশ্ন উঠতেই পারে,- তবে কি আসনে শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতি ছাড়া শ্রীশ্রী বড়মা, পূজ্যপাদ শ্রীশ্রী বড়দা এবং আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদার রাখলে বহুনৈষ্ঠিকতা হয় না? এক কেন্দ্রিকতা নষ্ট হয় না?
না। কারন,- শ্রীশ্রী বড়মা, পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা, আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদা - তাঁরা সকলেই আমাকে ঠাকুরমূখী করেন। তাঁরা নিজে যেমন সারাজীবন শুধু ঠাকুরকেই খুশী করতে সচেষ্ট,- তেমনি সারাজীবন ধরে শুধু চেয়ে গেছেন আমরা সকলেই যেন শুধু ঠাকুরের হয়ে উঠি, শ্রীশ্রীঠাকুরকেই জীবনসর্বস্ব করে তুলি, তাঁর প্রতিই কেন্দ্রায়িত হই। এবং নিজের জীবনে তা ই আচরণ করে দেখিয়েছেন৷ তাই, - ঠিক যেমনটা রামের সাথে মা সীতা ও হনুমান পূজিত হন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধা, মহাদেবের সাথে নন্দী- ভৃঙ্গী, ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সাথে মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দ পূজিত হন,- তেমনি শ্রীশ্রীঠাকুরের সাথে শ্রীশ্রী বড়মা, পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা এবং আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদা ও পূজিত হন। এই বহু প্রতিকৃতি আমার নিষ্ঠাকে একমূখী, তথা ঠাকুরমূখীই করতে সাহায্য করে। বরং আরো সহজতর করে।
আমি গরীব হতে পারি, এক বেলা কম খেতে পারি,- কিন্তু আমার ইষ্টদেবতাকে রাখব রাজাধিরাজের মত। এই বোধ মানুষকে অনেক যোগ্য, সংবেদনশীল ও নিষ্ঠাসম্পন্ন করে তুলে। রাজাধিরাজের মত রাখা মানে অনেক দামী আসনে রাখা নয়,- পরিস্কার, গোছানো সাদা কাপড়ের আসনে খুব যত্ন করে রাখব। তাতে এই বোধ, সংবেদনশীলতা ও যোগ্যতা ধীরে ধীরে আমার সংসারে উন্নতি নিয়ে আসে।
পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবাইদাদা বলেন, - খুব অভাব থাকলে,- একটা ফলের বা সব্জির কার্টনে সাদা কাগজ লাগিয়ে তার মধ্যেই আসন বানাতে পারি৷ প্রয়োজন শুধু মানসিকতা ও বোধের।
অনেকের আসনেই দেখেছি একটি ফটোতে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা এবং অন্যান্যদের ছবি একসাথে কোনভাবে এডজাস্ট করে প্রিন্ট করা। এই ফটো আসনে না রাখাই শ্রেয় বলে আমার ধারনা। শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা এবং আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদার আলাদা আলাদা পূর্ন অবয়বের প্রতিকৃতিই রাখা উচিত।
প্রতিটি সৎসঙ্গী পরিবারে শ্রীশ্রীঠাকুরের আসন যথাযথভাবে থাকা একান্ত আবশ্যক বলেই আমার ধারনা। কারন,- যদি আসনই না থাকে তবে তাঁকে ধীরে ধীরে ভুলে যাব, তাঁর চেহারা মনে পরবে না, কোন impulse পাবনা তাঁকে ধরে চলার। শেষে দীক্ষা নেওয়া, - আর না নেওয়া একই ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
Comments
Post a Comment