![]() |
Magical Incident caused by Sri Sri Borma |
দরিদ্র এক মা একটা থলেয় ক'রে থানকুনী, থোড়, মোচা ইত্যাদি নিয়ে এসেছেন, এবং তা' নিবেদন করতে কুণ্ঠা বোধ করছেন। অন্তর্য্যামী দীননাথ নিজে থেকেই তাকে জিজ্ঞাসা করছেন- কী আনিছিস রে!
ভক্তটি সসঙ্কোচে তা'র কথা বলতেই শ্রীশ্রীঠাকুর খুশিভরে বলছেন- বা! বেড়ে মাল! মোচার সিঙ্গড়ি, ডাল ফেলান, চাপড়ঘন্টা এ-সব খুব জমে। যা' তাড়াতাড়ি দিয়ে আয় গিয়ে।
ভক্তটি আনন্দবিহ্বলচিত্তে শ্রীশ্রীবড়মা'র কাছে যান ত্বরিত গতিতে।
অধিবেশনের সময় পাশের 'এশিয়াটিক হাউস' পাওয়ার কথা ছিল। তা' না পাওয়ায় অত্যধিক স্থানাভাব হয়েছে। মায়েদের ছোট-ছোট ছেলেপেলে নিয়ে কত অসুবিধা হ'চ্ছে। কিন্তু কারও কোন অনুযোগ নেই। তাঁকে দর্শন করার আনন্দে সবাই বিভোর।
পর-পর লোক আসছেই। প্রত্যেকের প্রাণে কী গভীর আকূতি। কী আকূল আগ্ৰহ! শ্রীশ্রীঠাকুর প্রত্যেককে দেখামাত্রই সোল্লাসে জিজ্ঞাসা করছেন - ' কখন আসলি?' 'কি খবর?'- ইত্যাদি। সকলের প্রাণ জীবনবল্লভের প্রিয়সম্ভাষণে প্রগাঢ় পুলকে প্রদীপ্ত হ'য়ে উঠছে। তাঁর দরদমধুর স্নেহস্পর্শে কেউ-কেউ আবেগের আতিশয্যে ঝর-ঝর ক'রে কেঁদে ফেলছে। শ্রীশ্রীঠাকুর অন্য প্রসঙ্গ তুলে তাদের শান্ত ক'রে দিচ্ছেন। কতজনকে ডেকে-ডেকে খোসমেজাজে ঘনিষ্ঠভাবে এটা-সেটা গল্পসল্প করছেন। তাঁর যে শরীর খারাপ তা' কাউকে বুঝতে দিচ্ছেন না। অপরকে আনন্দদানই যে তাঁর চিরন্তন নেশা। আনন্দপাগল জীব-জগৎ তাই এক দুর্নিবার আকর্ষণে তাঁর কাছে-কাছে বারংবার ছুটে-ছুটে আসে।
(আলোচনা:প্রসঙ্গ:১৩ খন্ড)
Extra:
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কথিত গুরু-দীক্ষা-নামধ্যান প্রসঙ্গে
পৃষ্ঠা-১৪১ ।
⚘দীক্ষা নিয়ে কিভাবে চলব।
⚘শ্রী শ্রী ঠাকুর --- ভাল করে চলবে।এর তিনটে factor আছে।একটা হলো যজন অর্থাৎ জপধ্যান ইত্যাদির বিধান যা দীক্ষার সময় পেয়েছে তা নিত্য নিয়মিতভাবে নিজে practice করা। আর একটা বললো যাজন অর্থাৎ পরিবেশ কে ইষ্টী-চলনে প্রবুদ্ধ করে তোলা।পরিবেশ যদি ইষ্টমুখর হয়ে ওঠে,তাতে তোমারই লাভ । তাতে তুমি উন্নত প্রেরনা পাবে তাদের কাছ থেকে । রাজনের মানুষকে মুগ্ধ করতে গেলে চাই তাদের প্রতি সেবা ও সদ্ব্যবহার ।অন্যের সঙ্গে যত ভাল ব্যবহার করা যায়; তত নিজের সত্তা সুদীপ্ত হয়ে ওঠে এতেই জীবন উপভোগের উচ্ছল হয়ে ওঠে ।এর সঙ্গে আছে ইষ্টভৃতি ---- রোজ নিজে অন্নজল গ্রহণ করার আগে যথাশক্তি ইষ্টকে নিবেদন করা।এমনতর করার ভিতর দিয়ে ইষ্টের উপর টান বাড়ে ।ইষ্টটান যথই বাড়ে ততই প্রবৃত্তির টান সুনিয়ন্ত্রিত ও সত্তাগত হয়ে ওঠে।মনে রাখবে --- ঊষা-নিশায় মণ্ত্রসাধন ,চলাফেরায় জপ,যথাসময় ইষ্টনিদেশ মূর্ত করাই তপ। জানবে তোমার জীবন তোমার ইষ্টের ইচ্ছা পূরণ করবার জন্য ।তাঁর মনমত করে নিজেকে গড়ে তোলার মধ্যেই আছে তোমার জীবনের সার্থকতা । এইভাবে খুব চালাও।অতটুকু practice ( অনুশীলন) নিয়ে যদি চলতে পার unrepelling adherence (অচ্যুত অনুরাগ) নিয়ে,কোথা দিয়ে যে কি হবে বলা যায় না।( আ,প্র,১০/১১,১,১৯৪৮)।
Comments
Post a Comment