Skip to main content

Posts

আলোচনা প্রসঙ্গে পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৩৭-১৩৯

Alochana Prasange 5 th Part   যোগেশদা (চক্রবর্ত্তী)---আজকাল একদল সমাজ-সংস্কারক দেখা যায়, যারা মনে করেন, পাশ্চাত্যের মত আমাদের দেশেও বিবাহ-বিচ্ছেদের অধিকার থাকলে নারী-সমাজের প্রতি সামাজিক ন্যায়-বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখানো হবে। তাই, এ অধিকার স্বীকৃত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। শ্রীশ্রীঠাকুর (ক্ষোভের সঙ্গে) ওরা যা' ক'রে পস্তাচ্ছে, আমাদের তা' না করলে চলবে কেন ? যেগুলি আমাদের সমাজের পক্ষে গৌরবের, সেইগুলি নিয়ে আমরা বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করি, এটা যে কতখানি অন্তঃসারশূন্যতা ও অদূরদর্শিতার পরিচায়ক তা' ব'লে শেষ করা যায় না। বিবাহ-বিচ্ছেদপ্রথা যদি চালু হয়, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। পরিবারে ও সমাজে এখনো যে সুখ-শান্তিটুকু আছে, তা আর থাকবে না। পুরুষ ও নারী যাতে সুস্থ থাকতে পারে, স্বস্থ থাকতে পারে, আত্মস্থ থাকতে পারে, তৃপ্ত থাকতে পারে এবং স্ব-স্ব সহজাত সংস্কার-অনুযায়ী জীবনসংগ্রামের সব ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য ক'রে সত্তাকে আপূরিত ক'রে চলতে পারে, সেই দাঁড়াটাই নষ্ট হ'য়ে যাবে। নারীর সতীত্ব বিদায় নেবে চিরদিনের জন্য। অচ্ছেদ্য-প্রীতি-বন্ধনের বদলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আসবে ...

অবতার পুরুষদের সম্পর্কে শ্রী শ্রী ঠাকুর

Sri Sri Thakur about Avatar   অবতার পুরুষদের সম্পর্কে শ্রী শ্রী ঠাকুর যুগপুরুষোত্তম এর পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ভগবান অনুকূলচন্দ্র - বিশেষ জোর দিয়ে বলেছেন --- অগ্রগতির প্রথম পথ হচ্ছে অবতার মানুষ । তিনি একটি মানবদেহ বহন করেন, তার জীবন, শব্দ এবং একটি সংস্কৃতি পরিচালনা করেন একটি মানুষের জীবন বৃদ্ধি করতে এবং আলোকিত, আলোকিত, পুনরুজ্জীবিত করতে -- পারিপার্শ্বিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা । অবতার, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বে আসতে পারে । কিন্তু, তিনি যখনই আসেন, যখনই আসেন, দেশ, সময়, পাত্রের অসম্পূর্ণ আয়োজন বলেই আসেন । মূর্তি সংগ্রহ করে আসে - চলে যায়; আবার ফিরে আসে । ঈশ্বরের নতুন কালেব ছাড়া তার আসা এবং যাওয়ার মূর্তি কিছুই নয় । দেশ, পরিবারের জন্য কোন অবতারকে উপেক্ষা, নিন্দা বা দুঃখ দেখানো, যে পরিস্থিতিতেই আসুক না কেন তা উপেক্ষা করা, নিন্দা করা, বা দুঃখ দেখানো (অবতার) । কারণ, সবই এক । এটাই করা মানে রক্ষা পাওয়া । তাই এভাবে করা উচিত না । আবার, রূপান্তর করাটাও একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার । কারণ, ধর্মে কোন পার্থক্য বা বৈষম্য নেই । ধর্ম চিরন্তন এক এবং একমাত্র ধূর্ত । (আলোচ্য-বিষয়-নিয়ে-সং...

আলোচনা-প্রসঙ্গ = 19 র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-208-209

Alochana Prasange 19 th Part আলোচনা-প্রসঙ্গ = 19 র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-208-209   খারাপ চিন্তা মাথায় আসলে মানুষ জিজ্ঞেস করে না *** তারিখ 4 8. ୲ । ୲ -- বাদল-বাংলার বাড়িতে শ্রী শ্রী ঠাকুর প্রাতে । প্রফুল্ল এসে প্রণাম করে শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন -- তাড়াতাড়ি খাতা কলম মুছে ফেল । একটা কথা মনে পড়ে গেল । তাড়াতাড়ি লিখুন --- কলম ও খাতা মুছে শ্রীশ্রীঠাকুর বলতে শুরু করলেন প্রফুল্ল --- ′′ হেই! যা মনে আসে এবং এটা এরকমই হতে দাও, মানুষের কল্যাণই বলে, অচিউতা ইস্তানুরাগ থেকে এটা একই -- কি তীব্র সংবেদনশীলতায়; এর ভিতরে কুৎসিত --- এই ধরনের ভিতরে -- এটা দাও প্রস্থান পাওয়া যাবে; ঈশ্বরের নবী জনার্দন, 'পৃথিবী' থেকে তৈরি আবেগময় গল্প এবং, চলো ভূত হই; সে মানুষের বিবর্তন চায় --- কথায় ও কাজে যাই করো না কেন, এভাবেই তুমি জেগে উঠবে, প্রথমে সে এটা মেনে নেয়, শুধু চিন্তার জন্য নয়, এবং এভাবেই সে এটা করে যে কোন কিছুর জন্য সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষা, কুৎসিত যাই হোক না কেন - যেকোন কিছু সাহায্য করতে পারে নন্দনায় বাড়াতে চাই, এজন্যই সে জনার্দন । ′′ (7-20 মি,) পরে এই প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন -- মানুষের...

ইস্ট ভৃতি করলে কি হয় - বাস্তব ঘটনা

Sri Sri Thakur and Istabhriti দুইজন স্বামী -স্ত্রী ভিক্ষুক ছিল। তারা ভীক্ষা করে জীবন নির্বাহ করত। তারা ভীক্ষা করতে যেত আর প্রায়ই শুনত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিলে নাকি উন্নতি হয়। তারাও ভাবল আমরা তো গরিব ভীক্ষা করে জীবন চালাই, আমরাও দীক্ষা টা নিয়ে নেই তাহলে আমাদেরও উন্নতি হবে আর ভীক্ষা করে খেতে হবে না। তারা দুজনেই দীক্ষা নিল। এভাবে কেটে গেল এক বছর। মানুষ বলত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষা নিলে উন্নতি হয় কিন্ত আমাদের জীবনে তো এত উন্নতি হল না। আমরা আগেও ভীক্ষা করে খেতাম এখনও ভীক্ষা করেই খাই, তাহলে লাভ কি হল? আমরা যে ১ বছর ইষ্টভৃতি করেছি আর পাঠিয়েছি চল সেগুলি গিয়ে ঠাকুরের কাছ থেকে ফেরত আনব। তারা ইষ্টভৃতি টাকা ফেরত আনার জন্য দেওঘর রওনা দিলেন।  শ্রীশ্রীঠাকুর বড়দাকে বললেন- বড়খোকা দুইজন লোক আসছে তাদের এত টাকা ইষ্টভৃতি সেগুলি আলাদা করে রাখ আমি যখন বলব তখন তাদের দিয়ে দিবি আর বলবি টাকা নিয়ে আমার কাছে আসতে। তারা যখন মন্দিরে আসলেন তখন দেখলেন এত মানুষের সামনে কি করে ইষ্টভৃতির টাকা চাইবেন,,,, কিন্ত শ্রীশ্রীঠাকুর তাদের দেখেই বললেন যা বড়খোকার কাছে ইষ্টভৃতির টাকা রাখা আছে। বড়দার কাছে যখ...

শ্রী শ্রী বড়মার দিব্য লীলা

Magical Incident caused by Sri Sri Borma দরিদ্র এক মা একটা থলেয় ক'রে থানকুনী, থোড়, মোচা ইত্যাদি নিয়ে এসেছেন, এবং তা' নিবেদন করতে কুণ্ঠা বোধ করছেন। অন্তর্য্যামী দীননাথ নিজে থেকেই তাকে জিজ্ঞাসা করছেন- কী আনিছিস রে! ভক্তটি সসঙ্কোচে তা'র কথা বলতেই শ্রীশ্রীঠাকুর খুশিভরে বলছেন- বা! বেড়ে মাল! মোচার সিঙ্গড়ি, ডাল ফেলান, চাপড়ঘন্টা এ-সব খুব জমে। যা' তাড়াতাড়ি দিয়ে আয় গিয়ে। ভক্তটি আনন্দবিহ্বলচিত্তে শ্রীশ্রীবড়মা'র কাছে যান ত্বরিত গতিতে। অধিবেশনের সময় পাশের 'এশিয়াটিক হাউস' পাওয়ার কথা ছিল। তা' না পাওয়ায় অত্যধিক স্থানাভাব হয়েছে। মায়েদের ছোট-ছোট ছেলেপেলে নিয়ে কত অসুবিধা হ'চ্ছে। কিন্তু কারও কোন অনুযোগ নেই। তাঁকে দর্শন করার আনন্দে সবাই বিভোর। পর-পর লোক আসছেই। প্রত্যেকের প্রাণে কী গভীর আকূতি। কী আকূল আগ্ৰহ! শ্রীশ্রীঠাকুর প্রত্যেককে দেখামাত্রই সোল্লাসে জিজ্ঞাসা করছেন - ' কখন আসলি?' 'কি খবর?'- ইত্যাদি। সকলের প্রাণ জীবনবল্লভের প্রিয়সম্ভাষণে প্রগাঢ় পুলকে প্রদীপ্ত হ'য়ে উঠছে। তাঁর দরদমধুর স্নেহস্পর্শে কেউ-কেউ আবেগের আতিশয্যে ঝর-ঝর ক'রে কেঁদে...

নারী সম্পর্কে শ্রী শ্রী ঠাকুর

Sri Sri Thakur Anukulchandra about Lady নারী সম্পর্কে শ্রী শ্রী ঠাকুর     *⃣একবার শ্রীশ্রীঠাকুর কে প্রশ্ন করা হল*⃣          প্রশ্নঃ মেয়েদের কি ব'লে ডাকা ভাল? উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন- মেয়েদের sublime form (মহিমান্বিত রূপ)- ই হ'লো 'মা' তাই মা ব'লে ডাকাই ভালো। [আঃপ্রঃ ২১.১৩৮] মেয়েদের শ্রদ্ধা করার প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলছেন আলোচনা প্রসঙ্গে। শ্রীশ্রীঠাকুরঃ মেয়েদের প্রতি সমীহ ও সম্ভ্রম যেন আমার মজ্জাগত হয়ে গেছে। ছেলেবেলায় যখন বুঝলাম, মেয়েদের পেটে মেয়ে ও ছেলে দুই-ই হয়, কোন মানুষই মায়ের পেট থেকে ছাড়া জন্ম নিতে পারে না, তখন মেয়েদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা হল। ভাবলাম এরা তো ভগবানের মত। তাই একটা বাচ্চা মেয়ে দেখলেও, সে মায়ের জাতের একজন -- এই কথা মনে করে শ্রদ্ধা হয়।          [ আলোচনা প্রসঙ্গে - ৪/৮১ ] শ্রীশ্রীঠাকুর যেখানে একটা বাচ্ছা মেয়েকেও মায়ের আরেক রূপে দেখে ভক্তির কথা ও ভগবানের মত বলেছেন। সেখানে তার নামে নারী-বিদ্বেষী ট্যাগ লাগিয়ে অপপ্রচার করাকে হাস্যকর ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। 😕 আর এমন মিথ্যা অপপ্র...

श्री श्री बड़मा की दिव्य लीला

Sri Sri Borma Magical Moment | |    🌺परमाराध्या जगत जननी श्रीश्री बड़माँ  | |                        स्वयं महालक्ष्मी 🌺                         💐🌺🌸🏵️🌻🌹                    श्रीश्रीबड़माँ की देवीय लीला                '''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''     परमदयाल श्रीश्रीठाकुरजी की लीलासंगिनी रुप में अवतीर्ण होकर वे जो स्वभाविक जीवनयापन करती थी उस मध्य में दैवीय लीला प्रत्यक्ष किये हैं अनगिनत भक्तप्राण नर-नारी । श्रीश्रीबड़माँ की सत्संगी दादा एवं माँ सभी  " श्रीश्री लक्ष्मीमाता " के रूप में पूजा करते हैं । श्रीश्रीब...

শ্রী শ্রী ঠাকুর ও শিক্ষা ও দীক্ষা

Sri Sri Thakur and Education শিক্ষার প্রেক্ষাপটে -- শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন-শিক্ষা গ্রহণ করা যেমন সহজ ও স্বাভাবিক হয়, তেমন চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি ছেলে-মেয়ের অভ্যাস ও আচরণ শৈশব থেকেই উন্নত করতে হবে। বাবা মা ও পরিবারের সবার এমন হওয়া উচিত, আচার-আচরণ, কথাবার্তা ইত্যাদি, যা অনুসরণ ও অনুসরণ করলে সন্তান উপকৃত হতে পারে। পরিবারের সবাই যদি ভালাে হয়, তাহলে মূল থেকেই সহজ শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করা হয়। সন্তানদের শিক্ষা দিতে গিয়ে একই সময়ে মাথায় জিনিস ঢােকানাের মত নয়। কত কম মেনে নিতে পারে, বুঝতে পারে, একটু একটু করে শিক্ষা দেয়, একসাথে বেশি কিছু ঢােকানাে বেশিরভাগের মাথায় ঢুকতে পারে না। তাই ভালাে লাগার অনুভূতি নয় বরং অনিচ্ছা ও হতাশার অনুভূতি রয়েছে। মাঝে মাঝে তারা ভাবে, আমাদের মন ঠিক না, আমরা সব সামর্থ্য রাখতে পারি না। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেলে এমন কিছু হয় না। শিশুকে কি তা না বােঝার জন্য নির্যাতন করা ঠিক না। বরং যে বুঝতে পারে, তাকে প্রকাশ্যে প্রশংসা করা উচিত। পারে না পারে না পারে, তাদের মাথায় এমন অনুভূতি ঢুকিয়ে দিতে নেই। ঘরে ঘরে ল্যাবরেটরি, কুটির শিল্প, কৃষি, ব্যবস্থা, বাণি...

আলোচনা প্রসঙ্গে - ৫ ম খন্ড, পৃষ্ঠা---১৩১-১৩২,১৪০-১৪১

Sri Sri Thakur - Alochana Prasange     শ্রীশ্রীঠাকুর---সুধীরভাইকে (রায়চৌধুরী) বললেন---আমাদের যদি শত শত রিম কাগজের দরকার হয়, তাহ'লে কন্ট্রোলের দামে যোগাড় ক'রে দিতে পারিস?      সুধীরভাই---চেষ্টা ক'রে দেখতে পারি। আপনার দয়া থাকলে জোগাড় হওয়া অসম্ভব না।      শ্রীশ্রীঠাকুর (সহাস্যে)--- আমার আবার দয়া কিসের ? আমার হ'ল গরজ। ঠেকায় প'ড়ে চাচ্ছি। দয়া তোদের যারা চেষ্টা করবি ও তাদের যারা সুযোগ দেবে।      শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা শুনে সবাই হেসে ফেললেন।      সুধীরভাই---আমি খোঁজ নেব।      শ্রীশ্রীঠাকুর---যাতে কাজ হাসিল হয় তা_ করাই চাই।      একটি দাদা একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বললেন---আমি তার কাছে গিয়েছিলাম একজন রোগীর ওষুধের জন্য কিছু সংগ্রহের আশায়। অযথা এমন চড়া চড়া কথা শুনিয়ে দিল যে নিজেকে বড় অপমানিত মনে হচ্ছে। আমি তো আর নিজের জন্য যাইনি যে আমাকে কথা শোনায় ? লোকটার খুব দেমাক হয়েছে।      শ্রীশ্রীঠাকুর হাসতে-হাসতে বললেন--- অল্পেতেই অত চ'টে যাস কেন ? সে কী অবস্থায়...

দয়াল ঠাকুর - দ্বিতীয় পর্ব

Sri Sri Thakur Anukulchandra *                        'দয়াল ঠাকুর - (২)'                                 দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়        ইং ১৯৬৪ সালে শ্রীশ্রীঠাকুর এই দীন সেবককে, ইষ্টভৃতির মূল তত্ত্ব বিশ্লেষণ ক'রে একখানা বই লিখতে আদেশ করেন। আদেশ পওয়ার মুহূর্ত্ত থেকেই আমি সমগ্র বিষয়টাকে মাথায় সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, ভাবছি সুরুটা কিভাবে হবে, কোন্ কোন্ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে, ইত্যাদি। ভয়-ভয়ও করছে এই ভেবে যে আমার মতন ক্ষুদ্র ব্যক্তি কি ক'রে পুরুষোত্তম-প্রবর্ত্তিত এত বড় তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করবে ! তবুও ঠাকুরের আদেশ, করতেই হবে। এইভাবে চিন্তা করতে করতে রাত কেটে গেল।        পরদিন সকালে তাঁর সন্মুখে যেয়ে দাঁড়াতেই জিজ্ঞাসা করলেন, "তোর লেখা হ'য়ে গেছে ?" আমি শুনে তো হাঁ। এত বড় কাজটির কথা বললেন মাত্র গতকাল। আর আজ সকালেই খবর নিচ্ছেন হ'য়ে গেছে কিনা। মাথা নেড়ে বললাম, 'আজ্ঞে না'। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "তাড়াতা...

পিতা পুত্রের লীলা

Father and Son Amazing Incident                   ----পিতা-পুত্রের লীলা---- শ্রীশ্রীঠাকুর----গুরু মানেই সদগুর--আচার্য্য। গুরু-পুরুষোত্তমই সচ্চিদানন্দের মূর্ত্ত বিগ্রহ, তিনিই রুপায়িত ঈশ্বর প্রেরণা, তিনিই আত্মিক শক্তির প্রোজ্জ্বল প্রকাশ, অস্তিবৃদ্ধির পরম অমৃতপথ। দুনিয়ার যত দ্বন্দের মাঝে অন্বয়ী সার্থকতার সারকেন্দ্র তিনিই। তাঁকে ভালবেসে, তাঁর ইচ্ছা পরিপূরণ ক'রে, তদনুগ আত্মনিয়ন্ত্রণে, তাঁরই সঙ্গ, সাহচর্য্য ও সেবার ভিতর-দিয়ে মানুষ ঈশীস্পর্শ লাভে ধন্য হয়। আর গুরু-পুরুষোত্তমকে direct (সরাসরি) যারা না পায়, তারা তঁদনুবর্ত্তী আচার্য্য-পরম্পরার ভিতর দিয়ে তাঁর ভাবটাই কিছু না কিছু পায়।........ (আঃ প্রঃ ১/ ৪.১২.১৯৪১) মন্তব্যঃ--- গুরু-পুরষোত্তমই সদগুরু এবং তিনি সশরীরে থাকলে তিনিই আচার্য্য হন। অন্যদিকে শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানুসরণে বললেন,""ভারতের অবনতি তখন থেকে আরম্ভ হয়েছে, যখন থেকে ভারতবাসীর কাছে অমূর্ত্ত ভগবান্ অসীম হয়ে উঠেছে--- ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদের উপসনা আরম্ব হয়েছে। "" _________ শ্রীশ্রীঠাকুর। এখন কথা হচ্ছে, অবনতি কি? অবনতি হচ্ছে "পতন" আর উন্নতি ...

Buy Your Favourite Satsang Books