Skip to main content

Posts

শ্রী শ্রী ঠাকুর হলেন অসুস্থ

বড়মা প্রকৃত অর্থে লক্ষ্মী মা শ্রীশ্রীঠাকুরই ছিলেন বড়মার জীবনে একমাত্র লক্ষ্যস্থল। ব্যক্তিগ ভাবে তার সেবা, বাস্তব অর্থে তার পরিচর্যা করা, তিনি যাতে খুশি হন, তৃপ্ত হন, আনন্দিত হন, সেদিকে তিনি কড়া। নজর রাখতেন। একই দেহে তিনি যে লক্ষ্মী-নারায়ণ, অজস্র ঘটনা থেকে একটি ঘটনা তুলে ধরলে তার সত্যতা প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করা যাবে—একবার জামতলা ঘরে এয়ার কুলার লাগানাের জন্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের ডানহাত অসাড় হয়ে যায়। এই অসুস্থতা চলে ৪২ দিন ধরে। শ্রীশ্রীবড়মা ঐ ৪২ দিন অন্নত্যাগ করেছিলেন। শ্রীশ্রীবড়দার আব্দারে তিনি আধগ্লাস করে লেবুর সরবত খেয়েই শ্রীশ্রীঠাকুরের দিন-রাত সেবা শুশ্রুষায় নিমগ্ন থাকতেন। এই দীর্ঘকাল অনাহারে থাকার জন্যে তার দেহে কোন দুর্বলতার প্রকোপ দেখা যায়নি। দিব্য জ্যোতিতে তার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকত। শ্রীশ্রীঠাকুর যতদিন না সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন, ততদিন শ্রীশ্রীবড়মা এইভাবেই ঠাকুরের অক্লান্ত সেবায় দিন কাটিয়েছেন। ধীরেন ভূক্তদার লেখায় উপরােক্ত ঘটনার সবিস্তার বিবরণ পাওয়া যায়—শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্য জামতলায় একটি ঘর করা হল। ঠাকুর দুপুরে শুয়েছিলেন, খুব গরম পড়েছিল, তাই ঐ ঘরে হিউমিডিফায়ার মেসিন ...

মা ও ছেলের সম্পর্ক

Sri Sri Boroma & Sri Sri Borda মা ও ছেলের সম্পর্ক বড়মার পৌত্রীর স্মৃতিকথায় পাই—“ছেলেবেলায় দেখতাম আমার বাবার প্রায়ই শরীর খS' হতে। শরীর খারাপ হলে আর রক্ষে নেই, সারা বাড়ি নিস্তব্ধ। কেউই চাচামেচি করত ক) জেকে কোন কিছুবই আওয়াজ করা হত না। কথাও বলা হত না। এর ব্যতিক্রম হলে S' ২' ছিল না। বেশি অসুখ হলে ঠাকুমা আসতেন, রাতে কখনও কখনও বাবার কাছে। | শুতও দেখেছি। এমনি ভাল থাকলে ঠাকুমার কাছেই খেতেন। রাত্তিরে দেখতাম বাবার খাবার। ২২ বামুন নিয়ে আসতাে। বড় ঘরের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতাে। গভীর রাতে কখনও। ২২নও ঘুম ভাঙলে দেখতাম বাবাকে খাইয়ে, পরে মাকে খেতে। দুজনে খুব গল্প করতেন। বাবা আমার জন্য একটা ভাতের মাখা দলা রাখতেন, সেটাই পরদিন সকালে উঠে আমি খেতাম। সকালে উঠে আমার দলা চাই-ই-চাই। না হলে চিৎকার চঁচামেচি করতাম। বাবার খাবার ঠাকুমার কাছ হতে নিয়ে আসার নিয়ম ছিল, দেওঘরে এসেও সে নিয়ম ছিল। আমরা পুরান্দায় গোলাপবাগে থাকাকালীন দেবু বাগচী-দা খাবার নিয়ে আসতাে। পরে যখন আমরা নড়ালের বাড়ী'—বর্তমান বাবার বাড়ি ‘ষােড়শ ভবনে’ আসি, এখানেও নিয়ে আসতাে। দুপুরের খাবার, বাড়ির খাবারও খেতেন ইচ্ছ...

দূর্গ স্বরূপ মাতা শ্রী শ্রী বড়মা

মেয়েরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ—দুর্গস্বরূপ ঠাকুর একদিন কথাপ্রসঙ্গে বললেন—মেয়েদের সঞ্চয় বুদ্ধিও দরকার। যখনই সুযােগ পায়, তখনই মেয়েরা যদি কিছু-কিছু সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে বিপদে-আপদে সেটা অমৃতের মতাে কাজ করে। বড়বৌকে তাে আমি বিশেষ কিছুই দিতে পারি না, কিন্তু ও যখন যা পারে জমিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। আমি আবার অসুবিধায় পড়লে তার কাছে হাত পাতি, এক-এক সময় বড় ঠেকায়—বাঁচায়। তাই তােমাদের খুব ভাল শিক্ষা হওয়া চাই। তাহলেই তােমরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ, দুর্গস্বরূপ হয়ে উঠতে পারবে। বাইরের ঝড়ঝাপটা তাদের বিধ্বস্ত করতে পারবে । স্বাস্থ্য বল, কর্মশক্তি বল—সবই তাদের ফুটে উঠবে। নারীত্বের সার্থকতা মাতৃত্বে। প্রকৃত মাতৃত্বের স্ফুরণ যখন হয় মেয়েদের মধ্যে, তখন স্ত্রীর ভিতর দিয়েও স্বামী মাতৃত্বের স্পর্শ পায়। সন্তানের সুস্থি ও পুষ্টির জন্য মায়েরা যেমন একটা পাগলপারা রকম থাকে, স্বামীর জন্যও তখন তেমন হয়। মা যাওয়া অবধি বড়বৌয়ের মধ্যে এই জিনিসটা আমি খুব বেশি করে দেখছি। বেশিরভাগ সময় থাকে তাে বাড়ির মধ্যে, কিন্তু আমি দেখি। তিনটে হাঁচি যদি দিই—তাও সে খবর রাখে। হয়তাে খেতে বসেছি, টক খাবাে, বললাে—আজ আর টক খেয়ে ...

শ্রী শ্রী বড়মার তৎক্ষণাৎ রান্নাবান্না

ঠাকুরের নির্দেশানুযায়ী তৎক্ষণাৎ রান্নাবান্না শ্রীবড়মা সবসময় ঠাকুরের শরীরের দিকে নজর রেখে, দরকার হলে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে তার ভােগের ব্যবস্থা করতেন। কখনও কখনও ঠাকুরের ইচ্ছানুসারে সেই সেই তরকারি রান্না করতেন। একদিন ঠাকুর মেঠো কলমী শাক রান্নার কথা বললেন। তখন মা কালাে জোয়ার্দার-কে ডেকে বললেন, তাের বাবাকে খবর দে—মেঠো কলমী শাক ঠাকুরের জন্য পাঠাতে। কালাের বাবা আশু জোয়ার্দার-দা তখন কলকাতা সৎসঙ্গ-কেন্দ্রে থাকতেন। কালাে তার বাবাকে গেনে এবড়মার কথা জানালেন। আশুদা একটি লােককে যাওয়া-আসার খরচপত্র দিয়ে রাতের ট্রেনেই পাঠিয়ে দিলেন। সেই ভােরেই শাক এসে পৌঁছে গেল। মা নিজহাতে শাকগুলি বেছে কুটে—তার সাথে পটল, আলু, কাঁঠালের বীচিসহ এমন সুন্দর তরকারী চুনীলাল রায়চৌধুরী বড়মার জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনায় একজায়গায় বলছেন—রান্নাবান্না প্রস্তুত। বাবর আসন করে দেওয়া হয়েছে। স্বামী খেতে বসেছেন। আহাৰ্য্যবস্তু আনবার জন্য বধটি ( এবড়মা) হেঁশেলে ঢুকেছে। হঠাৎ স্বামী বললেন, আমি খিচুড়ি খাব। সে কি? আজ তাে খিচুড়ি রান্না হয়নি। কিন্তু কে শুনবে সে কথা? খিচুড়ি তার চাই এবং তক্ষুনি চাই। ঠিক আছে। খিচুড়িই আনছি। তখন...

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী Sri Sri Boroma আরেকটি ঘটনার কথা তিনি উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে শ্রীশ্রীবড়মা কত দূরদৃষ্টিসম্পন্না এবং গভীর প্রজ্ঞার অধিকারিণী ছিলেন। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং লেখক (অজিত কুমার গাঙ্গুলী)—ঘটনাটি হল এই সে আজ ৩০-৩৫ বছর আগের ঘটনা। আসাম থেকে এসেছেন সস্ত্রীক প্রমথচন্দ্র ব্যাপারী। তাঁদের সন্তানাদি নেই। আধুনিক জগতে চিকিৎসাশাস্ত্র এবং গ্রামীণ জীবনের ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্র-মন্ত্র, নানাবিধ কবচ ধারণ, দেবস্থানে হত্যে—সবকিছু করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এসেছেন দয়াল ঠাকুরের শ্রীচরণে। সন্তান না থাকায় নানা জনের নানা কথা, পারিবারিক যন্ত্রণা তাদের জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। তাই হতাশ প্রাণে গভীর ব্যথা নিয়ে পরমদয়ালের কাছে এসে সব নিবেদন করলেন। এঁরা আমার স্বর্গত পিতার মাধ্যমে দীক্ষিত। ব্যথাহারী শ্রীমধুসূদন দয়াল ঠাকুর তাঁদের সবকথা শুনে বললেন—“যা, বড়বৌকে বল।” আমি ওদের নিয়ে শ্রীশ্রীবড়মার কাছে গেলাম। তিনি তখন বসে আছেন বর্তমান মেমােরিয়ার বারান্দার পূর্ব পাশের ছােট্ট ঘরে। আমরা সবে তার ঘরে ঢুকেছি, তিনি বলে উঠলেন—“কিরে রঘুর মা এলি নাকি?” পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম আমরা তিনজন ছাড়া আর ...

বড়খোকার আবির্ভাব

বড়খােকার আবির্ভাব Sri Sri Boroma ১৩১৮ সন—সরসীবালা আসন্ন প্রসবা। কিছুদিন হল তিনি পিত্রালয়ে এসেছেন, প্রসববেদনায় খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু বেদনা হতে মুক্তি পাবার কোন লক্ষ্মণ তখনও দেখা যাচ্ছে না। অগ্রহায়ণ মাস পড়ে গেল। সেদিন শীতের সন্ধ্যাকাশ, পৃথিবী ধূসর। সরসীবালা মা হলেন (৫ই অগ্রহায়ণ) এক পুত্র-সন্তানকে কোলে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে হিমাইতপুরে সে সংবাদ পৌঁছে গেল। সেখানে সকলের মনে সেদিন আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর পুত্র সম্বন্ধে লিখে রাখলেন নিজের ডায়েরীতে। পিতার প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত জনমানসে ধৰ্ম্ম ও কৃষ্টির যে দীপশিখা জ্বলে উঠবে একদিন—তারই ধারক ও বাহক হবে এই পুত্র। শিশুর নাম রাখা হল অমরেন্দ্রনাথ। শ্রীশ্রীঠাকুর ডাকলেন—বড়খােকা। নেপথ্যচারিণী থেকেই শ্রীশ্রীবড়মা এই বড়খােকাকে ধীরে ধীরে বড় করে তুললেন, যােগ্য করে তুললেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন—“বড়খােকা একটা “সেন্টার অফ পিপল” অর্থাৎ লােকের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে—আমি বড় খুশি। বড়খােকার এই যে রূপান্তর যা তাকে মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছিল, তার পেছনে শ্রীশ্রীবড়মার অবদানটি ছিল সবচেয়ে বড়। শ্রীশ্রীঠাকুর তার লােকপালী ও ভাগবৎ জীবন ...

শ্রী শ্রী বড়মার সংসার জীবন

সংসার জীবন   দিদিমার সাধের নাতনি হিমাইতপুরের চক্রবর্তী বাড়ির বড়বৌ হয়ে এলেন এগারাে বছর বয়সে। বিরাট সংসার, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ, আত্মীয়-কুটুম্ব, গরুবাছুর, দাসদাসী নিয়ে জমজমাট সংসার। তিনি সেই অল্প বয়সে বিরাট সংসার দেখে ঘাবড়ে গেলেন না। তিনি যােগ্য দায়িত্ব নিয়ে সেই সংসারকে সুষ্ঠু পরিচালনায় অংশ নিলেন। পুত্রবধূর সংসারে এরূপ নিষ্ঠা দেখে শিবচন্দ্র স্ত্রীকে বললেন—ঐটুকু মেয়ে কি সব পারে। তখন স্ত্রী উত্তর দেন—কি করে জানবাে, বৌমা তাে কোনটাতে ‘না’ করে না। সবেতেই ঘাড় নেড়ে সাড়া দেয়। অসীম ধৈৰ্য্য ধরে সব কাজই তাে সম্পন্ন করছে। তখন শিবচন্দ্র বললেন—তােমার বােঝা দরকার। ঐ ছােট্ট মেয়েটা কেনই বা শ্বশুরবাড়িতে গুরুজনের মুখের ওপর কথা বলবে। বাড়ির গৃহিণীর তাে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে যে ছােট্ট মেয়েটা সারা দিন-রাত খাটা-খাটুনি করছে। এমনি করেই শ্রীশ্রীবড়মা নানাবিধ সংগ্রামের মধ্যে চক্রবর্তীদের সংসারের সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠেন। অনুকূলচন্দ্র এন্ট্রান্স ক্লাসের ছাত্র, সতেরাে বছরের কিশাের, গ্রামের সকলের প্রিয়, গ্রামবাসীদের হৃদয়ের ধন। কত্তামায়ের (ঠাকুরমার) অতটা আবার পছন্দ নয়। মাঝে মাঝে বির...

শ্রী শ্রী বড়মার লেখাপড়া ও শ্রী শ্রী ঠাকুরের সাথে বিবাহ

লেখাপড়া ও বিদ্যাশিক্ষা ফটুকি বড় হয়েছে; এখন তার বয়স দশ। রঙের জৌলুস আরও বেড়েছে। চুলের রাশি ঝরে পড়েছে কোমর ছাড়িয়ে। কুঁচবরণ কন্যা, তার মেঘবরণ চুল। লেখাপড়া শুরু হয়েছে তার ঘরকন্যা শিক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে পিতার কাছে। বাংলা, ইংরেজী, অঙ্ক প্রভৃতি শিখেছে সে ভালভাবে। পিতা, কন্যার কৃতকার্যতায় খুশি, তৃপ্ত; আর তার বিদ্যার্জনের আগ্রহ দর্শনে চমকিত। তাই তিনি বালিকা কন্যাকে ভর্তি করে দিলেন পাবনা সদরের প্রথম শ্রেণীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ে। রাত্রিবেলা পিতা কন্যাকে নিয়ে বসেন শিক্ষার তত্ত্বাবধানে। জননীও তৃপ্ত হন কন্যার লেখাপড়ার উন্নতি দর্শনে। কিন্তু মেয়ে ক্রমশ বড় হচ্ছে; এখন এগারাে বছর বয়স। মেয়ের বিয়ের জন্য মা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। একদিন দ্বিপ্রহরিক আহারের সময় স্বামীর কাছে নিবেদন করলেন মনের কথা–কন্যার বিবাহ। সেই সূত্রে হিমাইতপুরের চক্রবর্তী বাড়ির বড় ছেলেটির কথা বলেন। হিমাইতপুরের চক্রবর্তীরা তাদের পাল্টি ঘর। বনেদী পরিবার, সৎ বংশ, সম্পন্ন গৃহস্থ, সচ্ছল সংসার। ঐ ঘরে ফটকি পড়লে মেয়ে সুখী হবে। বিবাহ কন্যার পিতা রামগােপাল বাবু হিমাইতপুরের চক্রবর্তী পরিবারকে ভালভাবেই জ...

ছাগল ভক্ত

আপনারা হয় তো অনেকেই এনাকে চিনতে পারবেন.. ইনি হলেন 'মনু' (নাম টি পূজনীয় বাবাই দাদার দেওয়া) ফারকাটিং সৎসঙ্গ বিহার মন্দিরের গত ১৩ বছর ধরে নিবাসী..ঠাকুরের আশীর্বাদে আমি যদি সেই মন্দির এ না যেতাম আমার হয় তো এরকম একজন মহান পশুর সাথে দেখা হতো না.. পশু বললে ভুল হবে ঠাকুরের প্রতি এনার অটুট ভক্তি বোধেহয় মানুষের মধ্যেও দেখা যাই না...প্রভু ভক্তি কি ভাবে করতে হয় আমি অনেকটাই এনার থেকে শিখলাম.. ইনি প্রত্যেক দিন ভোর বেলা ও সন্ধে বেলা  প্রার্থনা সময় ইনি ঠিক মন্দিরের সামনে বসে প্রার্থনা করতে বসেন..আর প্রার্থনার পর..এক এক করে..ঠাকুর, বড়মা, বড়দা আর দাদা সবাইকে গিয়ে প্রণাম  করে আস্ত..আর একটা কথা শুনলে অবাক হবেন ইনি মন্দিরের প্রসাদ ছাড়া কিছু গ্রহণ করতো না.. একটা অনুভব বলতে চাই..২০১৯এ যখন পূজনীয় সিপাই দাদা ফারকাটিং মন্দির এর উদঘোটন এর জন্য এসেছিলেন...তিনি মন্দির এ আসার আগে সেখানে আশা গুরুভাই/গুরুভইন রা যখন সময় মতো মন্দিরে না আসতে অস্থির হয় উঠলেন.. ইনি (মনু) এক জায়গা থেকে র এক জায়গা হেটে হেটে অস্থির হয় পড়লেন..তারপর যখন দাদা আসলেন..দাদা আসার থেকে মন্দির এ প্রণাম করে জায়গা তে বস...

ধর্ম কাকে বলে?

             ' What is Dharma? ধর্ম্ম কাকে বলে ?'                     দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়                   সৃষ্টির বিধানে জগতে সব-কিছুর মধ্যেই একটা সীমা বা মাত্রা স্থিরীকৃত হ'য়ে আছে। এই সীমা অতিক্রম ক'রে গেলেই সে-বিষয়টি আর সুন্দর বা কল্যাণকর থাকে না, অনেক সময়ে তা' প্রাণঘাতীও হ'য়ে দাঁড়ায়। বিজ্ঞানীরা বলেন, সৌরজগতের গ্রহগুলি তাদের নির্দ্দিষ্ট স্ব-স্ব কক্ষপথে বর্ত্তমান থেকে অহরহ সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ ক'রে চলেছে। গ্রহগুলি তাদের নিজেদের জন্য নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে একটু বাইরের দিকে গেলেই মহাকাশে ছিটকে প'ড়ে এলোমেলোভাবে ঘুরতে থাকবে, আবার একটু ভিতরে স'রে এলে সূর্য্যের প্রচণ্ড আকর্ষণে সূর্য্যের মধ্যে ছিটকে প'ড়ে ভষ্মীভূত হ'য়ে যাবে। বিধাতা-কর্ত্তৃক তাদের জন্য যে সীমাপথ নির্দ্ধারিত হ'য়েছে, তাই তাদের অস্তিত্ব-রক্ষার প্রকৃষ্ট উপায়। আবার দেখা য়ায়, নদী যখন মাত্রামত জলে ভরা থাকে, তখনই ভাল। মাত্রামত জলপূর্ণ না হ'লে নদী নৌবাহনোপযোগী থাকে না, আবার মাত্রা ছা...

শৈশব ও বাল্যকাল

শৈশব ও বাল্যকাল Sri Sri Boroma home prisoned ফটুকি রইল তার দিদিমার কাছে মামাবাড়িতে। আর ত্রিনয়নী দেবী ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন শ্বশুরবাড়িতে। দিদিমার চোখের মণি সে। মামার বুকের ধন, আর মামিমার আদরের দুলালী। তােড়া পরিয়ে দেন দিদিমা নাতনির ছােট রাঙা দুটি পায়ে। গলায় দুলিয়ে দেন সরু একটি বিছে হার। আর পদ্মের উঁটার মতাে হাতদুটিতে দুটি মকরমুখী বালা, কানে ঝুলিয়ে দেন ছােট ছােট দুটি কুমারী মাকড়ি। দিদিমার কাছে সে শােনে রাজপুত্র রাজকন্যার গল্প, মামার কাছে শােনে রাবণ রাজার গল্প, আর মামিমার সঙ্গে তেঁতুলবীচি নিয়ে জোড় বিজোড় খেলে। সকালবেলা দিদিমা চেঁকিতে কোটা লাল আতপচালের ভাত, একটু ঘি ছড়িয়ে আলুভাতে দিয়ে খাইয়ে দেন। তারপর ফটুকি হাটে কেনা নীলাম্বরী শাড়িখানি কোমরে জড়িয়ে ঝমঝম শব্দে মল বাজিয়ে মৈত্র বাটীর দোরগােড়ায় এসে সখী নিরুকে ডেকে নেয়। কুমির কুমির খেলার মহড়া চলে সারা সকাল ধরে। বেলা বেড়ে উঠলে মামিমা খুঁজে নিয়ে জোর করে বাড়ি নিয়ে আসে, পরে মামার পাশে বসে খেয়ে দুপুরের ঘুম। এইভাবেই চলছিল ফটকির শৈশবের দিনযাপন। ফটকি, নিরু ও টুলু একসঙ্গে মিলিত হয়েছে নিরুদের বাড়িতে। তেল নুন দিয়ে...

পূজনীয় বাবাইদার আলোচনা

Rev. Babaida     !!পূজনীয় বাবাই দাদার আলোচনা!!                        ঠাকুরের যে আশ্রমে আমি থাকি তার পেছনে গ্রামের একটি ছেলে আশ্রমের কাজে সহযােগিতার জন্য আসে।সেই ছেলেটির একটি বাচ্চা আছে আট বছর বয়স।বাচ্চাটি খেলাধূলা করতাে হঠাৎ এমন অসুস্থ হল যে তার চলন শক্তি নষ্ট হয়ে গেল। সে পড়ে যায়।এসে আমাকে বলছে, 'দাদা বহু চিকিৎসা করালাম আমার ছেলের কোন উন্নতি হল না।ছেলে এখন হাঁটতে পর্যন্ত পারেনা।কি করবাে?' আমি আমার একজন সাথিকে বললাম ইন্টারনেট খুলতে। ইন্টারনেট খােলার পর সেই ছেলেটি রােগ সম্বন্ধে যা যা বলেছে তা লিখে দেখা গেল ইন্টারনেট থেকে সম্ভাব্য যে রােগ নির্ণয় হল, সেই রােগ সারানাের মতাে কোন চিকিৎসা এলােপ্যাথিতে নেই। তখন আমি ভুবনেশ্বরে আমার পরিচিত এক আয়ুর্বেদিক শিক্ষক আছে তাকে ফোন করলাম।তিনি একটি ওষুধ বলে দিলেন।সেই ওষুধ দেওঘর বাজার থেকে এনে সেই ছেলেটির হাতে দিয়ে বললাম, 'তোর বাচ্চাকে খাওয়াবি।' সেই বাচ্চাটি সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেল। আজও সুস্থ আছে। আমি এই ঘটনাটি এইজন্য বললাম যে আমি যন্ত্রের সাহায্যে একটি জ্ঞান ভা...

শিশুদের শ্রী শ্রী বড়মা - শুভ আবির্ভাব

শুভ আবির্ভাব কথায় ও ছবিতে শ্রীশ্রীবড়মা শ্রী শ্রী ঠাকুর কি বলতেন শ্রী শ্রী বড়মাকে নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর একবার শ্রীশ্রীবড়মার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগ-বিহ্বল কণ্ঠে উপস্থিত শিষ্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন—“আপনাদের ঠাকুর যদি নারী দেহ নিয়ে জন্মাতেন, তাহলে তার যে রূপ হ’ত তা ঐ বড়বৌ।”—বড়মা ছিলেন জগৎ-জননী, পরমপিতার অংশ-স্বরূপা। বর্তমান আচার্যদেব পূজ্যপাদ দাদার ভাষায়—দুই দেহে এক অভিন্নসত্তা। পৃথক অস্তিত্ব থাকলেও একই রূপে পূর্ণ প্রকাশ। পুরুষােত্তম যখন পৃথিবীতে আসেন, তখন তিনি লীলা-সহচরীকে নির্ধারিত ভাবেই আবাহন করে নিয়ে আসেন। তাদের আলাদা অস্তিত্ব থাকলেও, দুই দেহ থাকলেও তারা যে একে একে দুই নয়, বরং একে একেই পূর্ণ এক—তারই প্রকটিত রূপে দেবলােক থেকে মর্তলােকে ধরা দেন। রাধিকার ভাবকান্তি অঙ্গীকার করেই যেমন নবদ্বীপচন্দ্র শ্রীগৌরাঙ্গের আবির্ভাব। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকার প্রেমের মহিমা, প্রেমের স্বরূপ, প্রেমের মাধুর্য আস্বাদনকল্পে বিশ্ববাসীকে জানাতে এবং নিজে অনুভব করতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। চৈতন্যচরিতামৃতে তাই বলা হয়েছে—“রাধিকার ভাবকান্তি করি অঙ্গীকার, নিজ রস আস্বাদিতে হইয়াছ অবতার...

শ্রীশ্রীঠাকুর ও জ্যোতিষী

Sri Sri Thakur and Astrologer   কলকাতার নিউ আলিপুর ৯৮ই নলিনী রঞ্জন এভিনিউ নিবাসী সঙ্গভ্রাতা শ্রদ্ধেয় শ্রীযুক্ত চন্দ্রনাথ বৈদ্য মহাশয় তাঁর নিজ জীবনের একটি ঘটনা------- তখন ১৯৩৫ সাল। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমে গিয়ে দুই দিন অবস্থান করি।তারপর ফেরার সময় ঠাকুরের কাছে গিয়ে বিদায় গ্রহন করি।এই সময় ঠাকুর সহসা আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন---- কীরে মা, কিছু বলবি।.... মনে হলো ঠাকুর যেন অন্তর্যামী রূপে আমার স্ত্রীর মনের অব্যক্ত গোপন কথাটি জানতে পেরেছেন।কিন্তু আমার স্ত্রী লজ্জায় সে কথা প্রকাশ করতে না পেরে ঠাকুরের কথার উত্তর না দিয়ে নীরবে মুখ নামিয়ে রইল।আমি তখন ঠাকুরকে বললাম----, বিয়ের ৭/৮ বছর হতে চলল।ওর কোন সন্তানাদি না হওয়ায় ওর মনে খুব কষ্ট, হয়তো এই কথায় বলতে চায়।শ্রীশ্রীঠাকুর তখন বললেন----- তোর বয়সই বা কত, তোর চিন্তাই বা কি আছে।ছেলেমেয়ে তোর নিশ্চই হবে। সিদ্ধবাক মহাপুরুষ ঠাকুরের কথামতো সেই বছরই আমার এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।এরপর একটি পুত্র ও কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। আমার পুত্র সন্তানটি জন্মানোর পর বিখ্যাত জ্যোতিষী দিয়ে তার কোষ্ঠী করানোর পর জা...

শ্রীশ্রীঠাকুর ও মুসলমান

Sri Sri Thakur and Muslims    প্রশ্ন--অন ‍ ্যের বাঁচা ও বৃদ্ধি পাওয়াকে বজায় রাখিয়া আমার সুখ-সুবিধা সম্ভব কেমন করিয়া? -তা' কি সব সময়ে হ'তে পারে? শ্রীশ্রীঠাকুর-- আমি-ভাবের উদ্বোধনে যদি environment- এরই উপর নির্ভর করে,তাহলে environment-এর উদ্বর্দ্ধনেই এই আমিরও উদ্বর্দ্ধন হইবে নিশ্চয়! তাহলেই আমার কর্ত্তব ‍ ্য তা' যা'তে নাকি আমার environment উদ্বর্দ্ধিত হয়-আর,তা করতে হ'লেই environment এর সেবা আমার থাকা এবং বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য অপরিহার্য্য, আর,এই সেবা বিমুখ-যত হইব,তত আমি দুর্ব্বল ও অবসন্ন হইব,আর এই থাকার অপলাপ অবশ ‍ ্যম্ভাবী হইয়া উঠিবে সন্দেহ নাই। তাহ'লেই দেখা যায়,আমাদের এই সুখ-সুবিধার ব ‍ ্যাপারে environment মুখ ‍ ্য জিনিস। প্রশ্ন-- তবে কী কর্ম্মীই ধার্ম্মিক? শ্রীশ্রীঠাকুর-- হাঁ,ধর্ম্ম মানেই তাই-যেমন করে চললে,বললে,ভাবলে আমাদের being ও becoming বজায় থাকে ও বৃদ্ধি পায়। সাধারণ সন্ন্যাসী অপেক্ষা-অনেক তথাকথিত মহাপুরুষ অপেক্ষা-দাশ দা বেশী ধার্ম্মিক ছিলেন,কারণ তাঁর পারিপার্শ্বিকের সেবা জীবনের মুখ ‍ ্য ব্রত ছিল। He beloved environment sincerely to fulfil his princi...

Buy Your Favourite Satsang Books