Skip to main content

Posts

When A Murderer Came to Kill Sri Sri Thakur Anukulchandra at Deoghar

Sri Sri Thakur Lila  Pandas of Deoghar hired a murderer to kill Thakur. When he started staying at ashram he realised this person has no fault. And he was getting free food and shelter also. So he thought to kill after few days and get the payment 200 rs then for killing. He was a wanted criminal of 10000 rs prize. Later the murderer started to steal ritwiki pranami from ritwik dadas' bags. Thakur said nothing. Ritwik dadas informed to police. Police came at ashram. Thakur arranged dhuti punjabi for the murderer and said the police to take him(wearing dhuti punjabi) with them if they thought it's the old villain of past. Police saw the criminal has changed. They didn't take him to jail.  Later the murderer became saha prati ritwik of Thakur. His name was - Dekaram Kahar. Sri Sri Thakur Saved a lady in Story Night Story

Sri Sri Thakur saved a Young Woman in a Stormy Night

Sri Sri Thakur Saved a Young Lady Once in a stormy night a lady was waiting beside a road to get any car to come back home. Few times later a auto came. It had no passenger. The lady was frightened and was calling thakur to safely send her home. The driver was watching her again and again through front mirror. When her home came she gave rent to driver and got inside home too fast. Auto driver knocked at the door to pay for another person,who was coming with her. The lady said there was none with her. The driver saw at front wall and saw a picture of an old man. Then said this old man was there beside you. The picture was of Sri Sri Thakur Anukulchandra. Sri Sri Thakur from Puri Story | A calf died

Sri Sri Thakur Leela From Puri

  Hear this Story of Sri Sri Thakur Sri Sri Thakur was in Puri. Specially Janakinath Bose made this possible. Then Kishori Mohan Da was looking after Himayetpur Ashram. A worker named Radhika Biswas employed a Brahmin named Panchanan Chowdhury to protect a dead body of a calf.(Himayetpur is a Muslim congested area and they eat Cows,calves)(Animal also can eat calves) But hearing sound of fox nearby he ran away. Radhika hit him by his kharam(a type of wooden shoe). Sri Sri Thakur sent a telegram 2 days later to Kishori that Radhika had give him so much pain. He has to take punishment himself otherwise Sri Sri Thakur himself will punish himself. The amazing fact is that, none of the ashramiks sent any information of death of calf etc. regarding with that matter to Sri Sri Thakur at Puri. Then how he came to know about this matter? Sri Sri Thakur on Sri Sri Boroma

Eka Janaardani Sharan Lyrics | Majhe Maher Pandhari Lyrics

                            Majhe Maher Pandhari lyrics in English: Maajhe maaher pndhari, ahe bhiwarechya tiri Baap ani aai, maajhi withhathhal rakhumaai Maajhe maaher pndhari ... Pundalik rahe bandhu, tyaachi khyaati kaay saangu Maajhe maaher pndhari ... Maajhi bahin chndrabhaaga, karitase paapabhnga Maajhe maaher pndhari ... Eka janaardani sharan, kari maaherachi athhawan Maajhe maaher pndhari ... Singer : Pt. Bhimsen Joshi Lyrics : Sant Eknath Matrisommelon Git Panchali Lyrics Meaning: PanDhari (panDharaPura) is my mother’s house which is on the banks of BheemA (bheevaraa) river. father and mother, is my Vitthala and Rakhumai (Rukmini) PunDalika stays as my brother, what should I tell about his fame !? my sister is ChandrabhagA (river BheemA is called ChandrabhagA in PanDharapura as it’s course takes the shape of moon crescent here), breaks the sins – makes us free of our sins. ekA (which also means...

Mahabharat Star Plus 1st Episode Teachings

1.सब कुछ पाने के बाद भि हमे एक ईच्छा अबशेष रहे जाता है ,जीबन कि ईच्छा महाराज संघर्ष के पल मेहि अनुभब होता है कि हम जीबन्त हे । 2.जिनके पास सारे सूख है, उनहे शांति का मूल्य होता है। जिनके पास केबल शांतिही है, उन्हें तो पहले सारे सुख चाहिए। और सुखभी तो सारे संघर्ष से हि मिलता है। 3.शक्ति हातोमे नही, शक्ति हृदयमे होती है। इच्छा है हृद्शक्ति। 4.ईशवरने हमे इतनी छोटी आँखे दी है, किन्तु उन्ही आंखोमें समग्र आकाश को देखने की शक्ति भरि है। फेर मैं छोटी इच्छा राखके ईशवर का अपमान कैसे क्र सकती हूँ।

মাতৃসম্মেলনে গীত পাঁচালী

Git Panchali তােরা শােনরে ভাই বলে যাই বাঁচা বাড়ার পথ যে পথে চলেছে ঠাকুর অনুকূলের রথ শােন পূণ্য কথা (2) তার বারতা কহি বিবরণ যে কথা শুনিলে হয় পাপ বিমােচন। এল সােনার মানুষ (২) মহাপুরুষ অনুকূল রায় পাপী তাপী উদ্ধারিতে সােনার বাংলায়। গ্রাম হিমায়েতপুরে (২) পদ্মাতীরে জেলা পাবনায় শিবরাম চক্রবর্তী অতি সদাশয়। মাতা মনােমােহিনী (2) তার গৃহিনী অতি পূণ্যবতী যার গৃহেতে জন্ম নিলেন ত্রিলােকের পতি। করে গৃহ আলাে (২) প্রেমময় ঠাকুর অনুকূল যার লক্ষ লক্ষ শিষ্য পূজে চরণ রাতুল। তার ঐ রূপ দেখে (২) একমুখে কহন না যায় ভুবনমােহনরূপে সবারে ভুলায় শােন তার মহিমা (২) মাধুরিমা নাহি পারাবার নবরূপে এসেছেন কল্কি অবতার। শােন ধর্মের কথা (২) তার বারতা অতি চমৎকার বাঁচাবাড়াই আসল নীতি ধর্ম কর সার। কর খাদ্যবিচার (২) সদাচার ঋষিবাক্য পালাে প্রতিবেশীর সেবা করে ইষ্টপথে চল। এইতাে আর্যনীতি (২) ধর্মনীতি হিংসা দ্বেষ ছাড়াে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান যে যার পথে চল। পালাে বর্ণাশ্রম (২) কর প্রেম ইষ্টকর্ম ধর যজন যাজন ইষ্টভৃতি যথারীতি কর। পালাে স্বস্ত্যয়নী (২) মহান বাণী পালন কর ভাই ত্রিজগতে নামের সম ঔষধ আর নাই। এইতাে বাঁচার পথ (২) ভিন্নম...

পূজনীয়া সাধনাদি রচিত প্রার্থনা

Sadhana Di Biography and Her Payer আমার ইষ্ট, আমার আদর্শ। আজ থেকে আমার জীবন তােমার; তোমার বৃদ্ধি আমার বৃদ্ধিকে স্পর্শ করুক, তােমাকে প্রতিষ্ঠা করাই আমার জীবনের সর্বপ্রধান ব্রত হােক, নারীর নীতিতে তুমি বলেছ— তুমি কল্যাণীরূপে, সতীরূপে, নারীরূপে আমাকে আমার বৈশিষ্ট্যে বর্ধনশীলা দেখতে চাও শপথ করছি—আমার জীবনের প্রতি মুহূর্তে আমি তােমার এই ইচ্ছাকে পূর্ণ করতে চেষ্টা করব; Prayer Written by Sadhanadi  তুমি সুস্থ ও দীর্ঘায়ু হও— আমার জীবন আমি তােমায় অর্ঘ্য দিলাম তুমি উজ্জ্বল হয়ে ওঠ পুলকে, জীবনে, যশে আর মহান সম্বেগে— নারী আমি, অমৃতের অধিকারিণী, আশীর্বাদ কর—যেন এই অফুরন্ত অমৃত দিয়ে- নিপীড়িত, ব্যথিত, কর্মিষ্ঠ, আদর্শ-অনুপ্রাণ নর কে আমি অপূর্ব প্রাণন-স্নানে স্নাত করিয়ে তােমারি দিকে তাকে আরাে এগিয়ে দিতে পারি; তুমি আমাকে ভালবাসার অধিকারিণী করেছ। আমি আমার সব ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে তােমাকে স্বতেজোদীপ্ত জীবনময় দেখতে চাই; তুমি এই শুভক্ষণে আশীর্বাদ কর— যেন আমি এমনিভাবেই আমার চলায় তােমাকে, তােমার ইচ্ছাকে মূর্ত করে তােমার মহান অভিযানকে অবাধ করে তুলতে পারি আমার অস্তি-বৃদ্ধির পরম উদ্ধাতা—আমার প্রিয়পর...

জগজ্জননী শ্রীশ্রীবড়মা সম্পর্কে পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর

Sri Sri Thakur on Sri Sri Boroma শ্রীশ্রীঠাকুর---সংসারে মেয়েদের বলে লক্ষ্মী। কপালে মানুষ যারা, তাদের বেী লক্ষ্মী হয়। আমার। গায়ে ভূত ছাড়ায়ে দিতেন। ও চুপ করে থাকতাে, টু শব্দটি করতাে না। বুঝে-বুঝে হাতের কাজ। কাল ভাল, তাই বড়বৌ-এর সঙ্গে বিয়ে হইছিল। এই বড়বৌ-ই কি কৰ্ত্তামার কাছে কম গাল খাইছে? ২া 'ডে করতাে। তাতে কামা খুব খুশি হতেন। আদর করে খাওয়াতেন। এত সব পাশ করে আসে। তবে না আজ বড়বৌ বড়বৌ। মেয়েদের বড় University (বিশ্ববিদ্যালয়) হলো তাদের শ্বশুরবাড়ি।। (সূত্র : আলােচনা-প্রসঙ্গে, তৃতীয় খণ্ড) * শ্রীশ্রীঠাকুর—নারীত্বের সার্থকতা মাতৃত্বে। প্রকৃত মাতৃত্বের স্ফুরণ যখন হয় মেয়েদের মধ্যে, তখন। ইর ভিতর দিয়েও স্বামী মাতৃত্বের স্পর্শ পায়। সন্তানের সুস্থি ও পুষ্টির জন্য মায়ের যেমন একটা পাগলপারা রকম থাকে, স্বামীর জন্যও তখন তেমন হয়। মা যাওয়া অবধি বড়বৌ-এর মধ্যে এই জনিসটা আমি খুব বেশি করে দেখেছি। বেশিরভাগ সময় থাকে তাে বাড়ির মধ্যে। কিন্তু আমি দেখি, তিনটে হাঁচি যদি দিই তাও সে খবর রাখে। হয়তাে খেতে বসেছি, টক খাবাে, বললাে—আজ আর উক খেয়ে কাজ নেই, বার-বার হাঁচি হচ্ছে যেমন। রকমটা দেখে আমার ভ...

Satsang Matrimony Websites

  Satsang Matrimonial Website There is only 1 website till now focusing on Satsang Matrimony. Mainly Satsang marraiges occurs by Ritwiks,SPRs etc. people's suggestion offline. Except that Satsang Books releases description from bride and groom in Bride/Groom Section just same as newspapers. But in 2019 a website was made in consent of Rev. Babaida in Kolkata. Although it's not much popular till now. And this website is not smartly updating or greatly customized. The website link is here : SATSANG MATRIMONY N.B. - I am providing this website only for your questions were coming about that matter - Online Satsang Matrimony. 

শ্রী শ্রী বড়মাকে নিয়ে কবিতা - আচার্য্যদেব শ্রী শ্রী দাদা

Poem of Acharyadeb Sri Sri Dada সাগর দেখেছাে? স্নেহের সাগর? সুনীল জলধিরাশি, স্থির-চঞ্চল কল উচ্ছ্বাসে দিগন্তে প্রসারিত, অতল গভীর গহিন বিশাল, উৰ্ম্মিমুখর হাসি, চকিত স্পর্শে জড় সুকঠিন পাষাণ উনূলিত; মহা গম্ভীর, মৰ্ম্মরময়ী, মায়া-মেঘ-মেদুরতা ঊষর মরুর কঠিন বক্ষে সজল বর্ষণে সহসা আনিয়া দেয় কোথা হতে প্রাণময় সরসতা, শ্যাম সমারােহ মুখ তুলে চায় বিহগের কলগানে। দেখােনি তােমরা? আমি তাে দেখেছি তাহার আঁখির মাঝে সুবিপুল স্নেহ; অসীম ব্যাপ্তি, আয়ুদ প্রসন্নতা; বিশ্বজননী চরণপ্রান্তে আশ্রয় যেই যাচে, আশ্রয় পায়, আশ্বাস পায়, মেটে তার সব ক্ষুধা। দুদিনের লীলা সাঙ্গ করিয়া ফিরি আপনার দেশে আজো পিতামহী আশিস ছড়ান গ্রহতারকায় হেসে। (জয়তু জননী মে, পৃঃ ২০)

পূজনীয় বাবাইদাকে কে এমন কোলে তুলেছেন?

একেকটি ছবি যেন একেকটি মাহেন্দ্রক্ষণকে, আবেগঘন স্মৃতিকে বহন করে। সম্প্রতি একটি ছবি নেট দুনিয়ায় সৎসঙ্গী মহলে খুব ঘুরছে। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রৌপৌত্র অর্কদ্যূতি চক্রবর্তী(পরম পূজনীয় বাবাইদাদা)-কে জাপটে কোলে তুলে গাড়ি থেকে নামাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছোটখাটো গড়ন। পূজনীয় বাবাইদাদা হাসছেন। তাঁর সেই ভুবনভুলানো হাসি। সে এক রঙ্গ যেন।     এই ছবিটির নানা ব্যাখ্যা শুনেছি। কেউ বলেছেন~বাবাইদাদার বিয়ের সময় এই ঘটনা। নানা মত। নানা জল্পনা, কল্পনা। সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি সৎসঙ্গী। ভাবুন, কী পরিণাম আলোড়ন!     পূজনীয় বাবাইদাদা দিব্য মনোমোহন গৌরাঙ্গ দীর্ঘদেহী পুরুষ। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে সম্ভ্রমের সঙ্গে সকলেই প্রণাম নিবেদনাদি করেন। সাধারণ মানুষ থেকে রাষ্ট্রনেতা। অমন ঐশীব্যক্তিত্বসম্পন্নকে অমন করে একটি ছোটখাটো মাঝারি কোনো ব্যক্তি এভাবে কোলে তুলে নামাচ্ছেন~এটা তো সাধারণ সচরাচর ঘটনা হতে পারে না। সকলেরই কৌতূহল হবে~ ছবিটির মাহাত্ম্যটি কী!      আমার মনে পড়ল~একবার ইউরোপ যাত্রাকালে রবীন্দ্রনাথ পণ্ডিচেরীর শ্রীঅরবিন্দ-আশ্রমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন জাহাজে। হ...

মহাজীবনের মহাপ্রয়াণ

মহাজীবনের মহাপ্রয়াণ তারপর এলাে সেই সাতাশে জানুয়ারী ঊনিশশাে ঊনসত্তর সালের মাঘ মাসের নবমী তিথি। আজও অন্যান্য দিনের মতােই ঠাকুর বড়দা বড়মা বেড়াতে গেলেন মানিকপুরে। বড়দা বন থেকে করমচা ও বনকুল নিয়ে এসেছেন। ঠাকুর ও বড়মার হাতে দিলেন। ঠাকুর ও বড়মা করমচা খেলেন। তারপর বেলা দশটায় বড়দা ঠাকুরকে নিয়ে আশ্রমে ফিরে এলেন। ঠাকুরের স্নান ও ভােগ যথারীতি সম্পন্ন হল। দুপুরে ভালভাবে বিশ্রামও নিলেন। বিকালে পার্লারে বসে আছেন শ্রীশ্রীঠাকুর। আধাে আলাে ও আধাে আঁধারে রহস্যঘন। ঠাকুর প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতেন তার আশি বছর কবে পূর্ণ হবে। এবছরে ঠাকুর একাশি বছরে পদার্পণ করেছেন। রাত্রে কয়েক ঘণ্টা ঘুমালেন। রাত এগারােটায় ঘুম ভেঙে গেল। শারীরিক যন্ত্রণা হচ্ছে। কেউ বুঝতে পারছে কি সেই যন্ত্রণা। পৃথিবীর সব দুঃখের ধারক বাহক যিনি, যিনি নীলকণ্ঠ, তাঁকে যে যন্ত্রণা বুকে ধারণ করতেই হবে। তিনি তাে পৃথিবীর সমস্ত বিষ পান করে নিজে নীলকণ্ঠ হয়ে পৃথিবীকে অমৃত দান করে গেলেন। ভাের চারটে পঞ্চান্ন মিনিটে দিব্য জীবনের দিব্য লীলার মহাসমাপন হল। মহাজীবনের হল মহাপ্রয়াণ। রেখে গেলেন বিপুলা পৃথিবী, অগণিত ভক্ত আর তার মহাজীবনের দিব্যবাণী। বড়মাক...

শ্রী শ্রী ঠাকুর হলেন অসুস্থ

বড়মা প্রকৃত অর্থে লক্ষ্মী মা শ্রীশ্রীঠাকুরই ছিলেন বড়মার জীবনে একমাত্র লক্ষ্যস্থল। ব্যক্তিগ ভাবে তার সেবা, বাস্তব অর্থে তার পরিচর্যা করা, তিনি যাতে খুশি হন, তৃপ্ত হন, আনন্দিত হন, সেদিকে তিনি কড়া। নজর রাখতেন। একই দেহে তিনি যে লক্ষ্মী-নারায়ণ, অজস্র ঘটনা থেকে একটি ঘটনা তুলে ধরলে তার সত্যতা প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি করা যাবে—একবার জামতলা ঘরে এয়ার কুলার লাগানাের জন্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের ডানহাত অসাড় হয়ে যায়। এই অসুস্থতা চলে ৪২ দিন ধরে। শ্রীশ্রীবড়মা ঐ ৪২ দিন অন্নত্যাগ করেছিলেন। শ্রীশ্রীবড়দার আব্দারে তিনি আধগ্লাস করে লেবুর সরবত খেয়েই শ্রীশ্রীঠাকুরের দিন-রাত সেবা শুশ্রুষায় নিমগ্ন থাকতেন। এই দীর্ঘকাল অনাহারে থাকার জন্যে তার দেহে কোন দুর্বলতার প্রকোপ দেখা যায়নি। দিব্য জ্যোতিতে তার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকত। শ্রীশ্রীঠাকুর যতদিন না সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন, ততদিন শ্রীশ্রীবড়মা এইভাবেই ঠাকুরের অক্লান্ত সেবায় দিন কাটিয়েছেন। ধীরেন ভূক্তদার লেখায় উপরােক্ত ঘটনার সবিস্তার বিবরণ পাওয়া যায়—শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্য জামতলায় একটি ঘর করা হল। ঠাকুর দুপুরে শুয়েছিলেন, খুব গরম পড়েছিল, তাই ঐ ঘরে হিউমিডিফায়ার মেসিন ...

মা ও ছেলের সম্পর্ক

Sri Sri Boroma & Sri Sri Borda মা ও ছেলের সম্পর্ক বড়মার পৌত্রীর স্মৃতিকথায় পাই—“ছেলেবেলায় দেখতাম আমার বাবার প্রায়ই শরীর খS' হতে। শরীর খারাপ হলে আর রক্ষে নেই, সারা বাড়ি নিস্তব্ধ। কেউই চাচামেচি করত ক) জেকে কোন কিছুবই আওয়াজ করা হত না। কথাও বলা হত না। এর ব্যতিক্রম হলে S' ২' ছিল না। বেশি অসুখ হলে ঠাকুমা আসতেন, রাতে কখনও কখনও বাবার কাছে। | শুতও দেখেছি। এমনি ভাল থাকলে ঠাকুমার কাছেই খেতেন। রাত্তিরে দেখতাম বাবার খাবার। ২২ বামুন নিয়ে আসতাে। বড় ঘরের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতাে। গভীর রাতে কখনও। ২২নও ঘুম ভাঙলে দেখতাম বাবাকে খাইয়ে, পরে মাকে খেতে। দুজনে খুব গল্প করতেন। বাবা আমার জন্য একটা ভাতের মাখা দলা রাখতেন, সেটাই পরদিন সকালে উঠে আমি খেতাম। সকালে উঠে আমার দলা চাই-ই-চাই। না হলে চিৎকার চঁচামেচি করতাম। বাবার খাবার ঠাকুমার কাছ হতে নিয়ে আসার নিয়ম ছিল, দেওঘরে এসেও সে নিয়ম ছিল। আমরা পুরান্দায় গোলাপবাগে থাকাকালীন দেবু বাগচী-দা খাবার নিয়ে আসতাে। পরে যখন আমরা নড়ালের বাড়ী'—বর্তমান বাবার বাড়ি ‘ষােড়শ ভবনে’ আসি, এখানেও নিয়ে আসতাে। দুপুরের খাবার, বাড়ির খাবারও খেতেন ইচ্ছ...

দূর্গ স্বরূপ মাতা শ্রী শ্রী বড়মা

মেয়েরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ—দুর্গস্বরূপ ঠাকুর একদিন কথাপ্রসঙ্গে বললেন—মেয়েদের সঞ্চয় বুদ্ধিও দরকার। যখনই সুযােগ পায়, তখনই মেয়েরা যদি কিছু-কিছু সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে বিপদে-আপদে সেটা অমৃতের মতাে কাজ করে। বড়বৌকে তাে আমি বিশেষ কিছুই দিতে পারি না, কিন্তু ও যখন যা পারে জমিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। আমি আবার অসুবিধায় পড়লে তার কাছে হাত পাতি, এক-এক সময় বড় ঠেকায়—বাঁচায়। তাই তােমাদের খুব ভাল শিক্ষা হওয়া চাই। তাহলেই তােমরা পুরুষের আশ্রয়স্বরূপ, দুর্গস্বরূপ হয়ে উঠতে পারবে। বাইরের ঝড়ঝাপটা তাদের বিধ্বস্ত করতে পারবে । স্বাস্থ্য বল, কর্মশক্তি বল—সবই তাদের ফুটে উঠবে। নারীত্বের সার্থকতা মাতৃত্বে। প্রকৃত মাতৃত্বের স্ফুরণ যখন হয় মেয়েদের মধ্যে, তখন স্ত্রীর ভিতর দিয়েও স্বামী মাতৃত্বের স্পর্শ পায়। সন্তানের সুস্থি ও পুষ্টির জন্য মায়েরা যেমন একটা পাগলপারা রকম থাকে, স্বামীর জন্যও তখন তেমন হয়। মা যাওয়া অবধি বড়বৌয়ের মধ্যে এই জিনিসটা আমি খুব বেশি করে দেখছি। বেশিরভাগ সময় থাকে তাে বাড়ির মধ্যে, কিন্তু আমি দেখি। তিনটে হাঁচি যদি দিই—তাও সে খবর রাখে। হয়তাে খেতে বসেছি, টক খাবাে, বললাে—আজ আর টক খেয়ে ...

শ্রী শ্রী বড়মার তৎক্ষণাৎ রান্নাবান্না

ঠাকুরের নির্দেশানুযায়ী তৎক্ষণাৎ রান্নাবান্না শ্রীবড়মা সবসময় ঠাকুরের শরীরের দিকে নজর রেখে, দরকার হলে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে তার ভােগের ব্যবস্থা করতেন। কখনও কখনও ঠাকুরের ইচ্ছানুসারে সেই সেই তরকারি রান্না করতেন। একদিন ঠাকুর মেঠো কলমী শাক রান্নার কথা বললেন। তখন মা কালাে জোয়ার্দার-কে ডেকে বললেন, তাের বাবাকে খবর দে—মেঠো কলমী শাক ঠাকুরের জন্য পাঠাতে। কালাের বাবা আশু জোয়ার্দার-দা তখন কলকাতা সৎসঙ্গ-কেন্দ্রে থাকতেন। কালাে তার বাবাকে গেনে এবড়মার কথা জানালেন। আশুদা একটি লােককে যাওয়া-আসার খরচপত্র দিয়ে রাতের ট্রেনেই পাঠিয়ে দিলেন। সেই ভােরেই শাক এসে পৌঁছে গেল। মা নিজহাতে শাকগুলি বেছে কুটে—তার সাথে পটল, আলু, কাঁঠালের বীচিসহ এমন সুন্দর তরকারী চুনীলাল রায়চৌধুরী বড়মার জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনায় একজায়গায় বলছেন—রান্নাবান্না প্রস্তুত। বাবর আসন করে দেওয়া হয়েছে। স্বামী খেতে বসেছেন। আহাৰ্য্যবস্তু আনবার জন্য বধটি ( এবড়মা) হেঁশেলে ঢুকেছে। হঠাৎ স্বামী বললেন, আমি খিচুড়ি খাব। সে কি? আজ তাে খিচুড়ি রান্না হয়নি। কিন্তু কে শুনবে সে কথা? খিচুড়ি তার চাই এবং তক্ষুনি চাই। ঠিক আছে। খিচুড়িই আনছি। তখন...

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী

বড়মার জীবনের নানা ঘটনাবলী Sri Sri Boroma আরেকটি ঘটনার কথা তিনি উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে শ্রীশ্রীবড়মা কত দূরদৃষ্টিসম্পন্না এবং গভীর প্রজ্ঞার অধিকারিণী ছিলেন। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং লেখক (অজিত কুমার গাঙ্গুলী)—ঘটনাটি হল এই সে আজ ৩০-৩৫ বছর আগের ঘটনা। আসাম থেকে এসেছেন সস্ত্রীক প্রমথচন্দ্র ব্যাপারী। তাঁদের সন্তানাদি নেই। আধুনিক জগতে চিকিৎসাশাস্ত্র এবং গ্রামীণ জীবনের ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্র-মন্ত্র, নানাবিধ কবচ ধারণ, দেবস্থানে হত্যে—সবকিছু করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এসেছেন দয়াল ঠাকুরের শ্রীচরণে। সন্তান না থাকায় নানা জনের নানা কথা, পারিবারিক যন্ত্রণা তাদের জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। তাই হতাশ প্রাণে গভীর ব্যথা নিয়ে পরমদয়ালের কাছে এসে সব নিবেদন করলেন। এঁরা আমার স্বর্গত পিতার মাধ্যমে দীক্ষিত। ব্যথাহারী শ্রীমধুসূদন দয়াল ঠাকুর তাঁদের সবকথা শুনে বললেন—“যা, বড়বৌকে বল।” আমি ওদের নিয়ে শ্রীশ্রীবড়মার কাছে গেলাম। তিনি তখন বসে আছেন বর্তমান মেমােরিয়ার বারান্দার পূর্ব পাশের ছােট্ট ঘরে। আমরা সবে তার ঘরে ঢুকেছি, তিনি বলে উঠলেন—“কিরে রঘুর মা এলি নাকি?” পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম আমরা তিনজন ছাড়া আর ...

বড়খোকার আবির্ভাব

বড়খােকার আবির্ভাব Sri Sri Boroma ১৩১৮ সন—সরসীবালা আসন্ন প্রসবা। কিছুদিন হল তিনি পিত্রালয়ে এসেছেন, প্রসববেদনায় খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু বেদনা হতে মুক্তি পাবার কোন লক্ষ্মণ তখনও দেখা যাচ্ছে না। অগ্রহায়ণ মাস পড়ে গেল। সেদিন শীতের সন্ধ্যাকাশ, পৃথিবী ধূসর। সরসীবালা মা হলেন (৫ই অগ্রহায়ণ) এক পুত্র-সন্তানকে কোলে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে হিমাইতপুরে সে সংবাদ পৌঁছে গেল। সেখানে সকলের মনে সেদিন আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল। শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর পুত্র সম্বন্ধে লিখে রাখলেন নিজের ডায়েরীতে। পিতার প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত জনমানসে ধৰ্ম্ম ও কৃষ্টির যে দীপশিখা জ্বলে উঠবে একদিন—তারই ধারক ও বাহক হবে এই পুত্র। শিশুর নাম রাখা হল অমরেন্দ্রনাথ। শ্রীশ্রীঠাকুর ডাকলেন—বড়খােকা। নেপথ্যচারিণী থেকেই শ্রীশ্রীবড়মা এই বড়খােকাকে ধীরে ধীরে বড় করে তুললেন, যােগ্য করে তুললেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন—“বড়খােকা একটা “সেন্টার অফ পিপল” অর্থাৎ লােকের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে—আমি বড় খুশি। বড়খােকার এই যে রূপান্তর যা তাকে মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছিল, তার পেছনে শ্রীশ্রীবড়মার অবদানটি ছিল সবচেয়ে বড়। শ্রীশ্রীঠাকুর তার লােকপালী ও ভাগবৎ জীবন ...

শ্রী শ্রী বড়মার সংসার জীবন

সংসার জীবন   দিদিমার সাধের নাতনি হিমাইতপুরের চক্রবর্তী বাড়ির বড়বৌ হয়ে এলেন এগারাে বছর বয়সে। বিরাট সংসার, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ, আত্মীয়-কুটুম্ব, গরুবাছুর, দাসদাসী নিয়ে জমজমাট সংসার। তিনি সেই অল্প বয়সে বিরাট সংসার দেখে ঘাবড়ে গেলেন না। তিনি যােগ্য দায়িত্ব নিয়ে সেই সংসারকে সুষ্ঠু পরিচালনায় অংশ নিলেন। পুত্রবধূর সংসারে এরূপ নিষ্ঠা দেখে শিবচন্দ্র স্ত্রীকে বললেন—ঐটুকু মেয়ে কি সব পারে। তখন স্ত্রী উত্তর দেন—কি করে জানবাে, বৌমা তাে কোনটাতে ‘না’ করে না। সবেতেই ঘাড় নেড়ে সাড়া দেয়। অসীম ধৈৰ্য্য ধরে সব কাজই তাে সম্পন্ন করছে। তখন শিবচন্দ্র বললেন—তােমার বােঝা দরকার। ঐ ছােট্ট মেয়েটা কেনই বা শ্বশুরবাড়িতে গুরুজনের মুখের ওপর কথা বলবে। বাড়ির গৃহিণীর তাে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে যে ছােট্ট মেয়েটা সারা দিন-রাত খাটা-খাটুনি করছে। এমনি করেই শ্রীশ্রীবড়মা নানাবিধ সংগ্রামের মধ্যে চক্রবর্তীদের সংসারের সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠেন। অনুকূলচন্দ্র এন্ট্রান্স ক্লাসের ছাত্র, সতেরাে বছরের কিশাের, গ্রামের সকলের প্রিয়, গ্রামবাসীদের হৃদয়ের ধন। কত্তামায়ের (ঠাকুরমার) অতটা আবার পছন্দ নয়। মাঝে মাঝে বির...

শ্রী শ্রী বড়মার লেখাপড়া ও শ্রী শ্রী ঠাকুরের সাথে বিবাহ

লেখাপড়া ও বিদ্যাশিক্ষা ফটুকি বড় হয়েছে; এখন তার বয়স দশ। রঙের জৌলুস আরও বেড়েছে। চুলের রাশি ঝরে পড়েছে কোমর ছাড়িয়ে। কুঁচবরণ কন্যা, তার মেঘবরণ চুল। লেখাপড়া শুরু হয়েছে তার ঘরকন্যা শিক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে পিতার কাছে। বাংলা, ইংরেজী, অঙ্ক প্রভৃতি শিখেছে সে ভালভাবে। পিতা, কন্যার কৃতকার্যতায় খুশি, তৃপ্ত; আর তার বিদ্যার্জনের আগ্রহ দর্শনে চমকিত। তাই তিনি বালিকা কন্যাকে ভর্তি করে দিলেন পাবনা সদরের প্রথম শ্রেণীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ে। রাত্রিবেলা পিতা কন্যাকে নিয়ে বসেন শিক্ষার তত্ত্বাবধানে। জননীও তৃপ্ত হন কন্যার লেখাপড়ার উন্নতি দর্শনে। কিন্তু মেয়ে ক্রমশ বড় হচ্ছে; এখন এগারাে বছর বয়স। মেয়ের বিয়ের জন্য মা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। একদিন দ্বিপ্রহরিক আহারের সময় স্বামীর কাছে নিবেদন করলেন মনের কথা–কন্যার বিবাহ। সেই সূত্রে হিমাইতপুরের চক্রবর্তী বাড়ির বড় ছেলেটির কথা বলেন। হিমাইতপুরের চক্রবর্তীরা তাদের পাল্টি ঘর। বনেদী পরিবার, সৎ বংশ, সম্পন্ন গৃহস্থ, সচ্ছল সংসার। ঐ ঘরে ফটকি পড়লে মেয়ে সুখী হবে। বিবাহ কন্যার পিতা রামগােপাল বাবু হিমাইতপুরের চক্রবর্তী পরিবারকে ভালভাবেই জ...

Buy Your Favourite Satsang Books